
দ্য ওয়াল ব্যুরো : খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রে বিধান পরিষদের দু’টি আসন ছিনিয়ে নিল সমাজবাদী পার্টি। তার মধ্যে একটি আসন সংরক্ষিত ছিল গ্র্যাজুয়েটদের জন্য। অপর আসনটি সংরক্ষিত ছিল শিক্ষকদের জন্য। শনিবার দু’টি কেন্দ্রে নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়। গ্র্যাজুয়েট আসনে জেতেন আশুতোষ সিনহা। শিক্ষক আসনে জয়লাভ করেন লালবিহারী যাদব।
মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশে বিধান পরিষদের ১১ টি আসনে ভোট হয়। তার মধ্যে পাঁচটি সংরক্ষিত ছিল গ্র্যাজুয়েটদের জন্য। ছ’টি সংরক্ষিত ছিল শিক্ষকদের জন্য। ওই আসনগুলিতে এমএলসি-দের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয় ৬ মে। বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেসের সমর্থক তিনটি শিক্ষক সংগঠন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। সব মিলিয়ে ১১ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ১৯৯ জন।
শনিবার দু’টি আসনে ফলপ্রকাশ হয়নি। বাকি ন’টি আসনের মধ্যে সমাজবাদী পার্টি পেয়েছে তিনটি। নির্দলরা পেয়েছেন দু’টি। সমাজবাদী পার্টি যেভাবে বিজেপির দুর্গ বলে পরিচিত বারাণসীতে দু’টি আসন পেয়েছে, তাতে অবাক হয়েছেন অনেকে। এদিন লালবিহারী যাদব বলেন, “আমরা বড় জয় পেয়েছি। ভোটের ফলাফলে আমরা খুশি।”
উত্তরপ্রদেশ সহ দেশের মোট ছ’টি রাজ্যে আইনসভায় দু’টি কক্ষ আছে। নিম্নকক্ষের নাম বিধানসভা। উচ্চকক্ষের নাম বিধান পরিষদ। উত্তরপ্রদেশে উচ্চকক্ষে আছে ১০০ টি আসন।

২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে প্রথমবার বারাণসী কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন মোদী। সেবার তাঁর বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন দিল্লির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মোদী ৩৬ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার বারাণসী থেকে নির্বাচিত হন মোদী।
শুক্রবার মহারাষ্ট্রে বিধান পরিষদের ছ’টি আসনে ভোটের ফল প্রকাশিত হয়। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ওই আসনগুলিতে নির্বাচন হয়েছিল। তার মধ্যে কংগ্রেস ও এনসিপি জয়ী হয়েছে চারটি আসনে। একটি আসনে জিতেছেন নির্দল প্রার্থী। মাত্র একটি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। নাগপুরকে একসময় বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে ধরা হত। সেখান থেকে অতীতে চারবার নির্বাচিত হয়েছেন শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতা নীতিন গড়করি।
এর পাশাপাশি একটি পুরসভা কেন্দ্রের ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি। শিবসেনা বিধান পরিষদের একটি আসনেও জয়ী হয়নি। ওই আসনগুলিতে ভোট হয়েছিল মঙ্গলবার। শিবসেনা নেতৃত্বাধীন মহা বিকাশ আগাদির সঙ্গে প্রেস্টিজের লড়াই হয়েছিল বিজেপির। কংগ্রেস-শিবসেনা জোট রাজ্যে ক্ষমতায় আছে একবছর। মতাদর্শগতভাবে তাঁরা সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করে। বিজেপি সেজন্য বারবার বলেছে, এই জোট টিকবে না।
এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার বলেছেন, “গত একবছরে মহা বিকাশ আগাদি যে কাজ করেছে, তাতে সন্তুষ্ট হয়েছেন রাজ্যের মানুষ। ভোটে তারই প্রতিফলন হয়েছে।” এনসিপি-র সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে এদিন শাসক জোটের বিজয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেন। তাতে লিখেছেন, “সুপ্রভাত! যে ভোটাররা মহা বিকাশ আগাদির প্রার্থীদের হয়ে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের অভিনন্দন জানাই। আমাদের পার্টিকর্মী ও প্রার্থীদের কঠোর পরিশ্রম এবং উপযুক্ত নেতৃত্ব ছাড়া এই জয় সম্ভব হত না।”