
দ্য ওয়াল ব্যুরো : শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোতে শেরিং ‘রুপে কার্ড ফেজ টু’-র উদ্বোধন করলেন। এর ফলে ভুটানের রুপে কার্ড হোল্ডাররা ভারতের রুপে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন। গতবছর অগাস্টে ভুটানে গিয়েছিলেন মোদী। তখন তিনি রুপে ফেজ ওয়ানের উদ্বোধন করেন।
এদিন ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে ভাষণে মোদী বলেন, অনেকগুলি ক্ষেত্রেই ভারত ও ভুটানের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মহাকাশে ভুটানের উপগ্রহ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতের সংস্থা ইসরো। বিএসএনএলের সঙ্গেও ভুটান সরকারের চুক্তি হয়েছে।
বিদেশমন্ত্রক থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফেজ ওয়ান রুপে কার্ড চালু হওয়ার পরে ভারতীয় পর্যটকরা ভুটানে গিয়ে এটিএম এবং পয়েন্ট অব সেল টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারতেন। ফেজ টু চালু হলে ভুটানের নাগরিকরা ভারতে রুপে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার শোনা যায়, ভুটানের সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে একটি গ্রাম বানিয়ে ফেলেছে চিন। এই প্রেক্ষিতে শুক্রবার মোদী যেভাবে ভুটানের যে কোনও প্রয়োজনে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন, তা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
ভুটানে চিনাদের গ্রাম বানিয়ে ফেলার কথা জানাজানি হয় বৃহস্পতিবার। চিনের সরকারি গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিক শেন শিওয়েই এদিন সকালে টুইটারে সেই গ্রামের ছবি পোস্ট করেন। সিজিটিএন টিভির সিনিয়র প্রোডিউসার শেন কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই টুইট ডিলিট করে দেন। কিন্তু ততক্ষণে চিনা গ্রামের কথা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। শেন লিখেছিলেন ওই গ্রাম ডোকলাম এলাকায় অবস্থিত।
গ্রামের নাম প্যাঙ্গদা। ভুটানের সীমান্তের দু’কিলোমিটার ভেতরে ওই গ্রাম অবস্থিত। অর্থাৎ ওই অঞ্চলে ভুটানের সার্বভৌমত্ব মানছে না চিন।
ভারত, চিন ও ভুটান সীমান্তে ডোকলাম মালভূমিকে নিজের দেশের অংশ বলে মনে করে ভুটান। ভারত এই দাবি মেনে নিলেও, চিন দাবি করে ডোকলাম মালভূমি তাদের দেশের অংশ। ২০১৭ সালে ডোকলাম সীমান্তের কাছে রাস্তা তৈরি শুরু করে চিন। পূর্ব সিকিমের কাছে ডোকলাম থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার দূরে সেই রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তাতে তীব্র আপত্তি জানায় ভারত। কূটনৈতিক পথেই উত্তেজনা প্রশমিত হয়েছিল শেষ পর্যন্ত। দু’দেশের শীর্ষ নেতৃত্বই ডোকলাম থেকে সেনা সরাতে রাজি হয়। কিন্তু ডোকলাম সীমান্তের ও পারে তথা ত্রিদেশীয় সীমান্তের খুব কাছাকাছি এলাকায় চিনের বাহিনীর তৎপরতার খবর মাঝে মাঝেই আসে।