
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবশেষে খোঁজ মিলল ইন্দোনেশিয়ার ভেঙে পড়া বিমানের ব্ল্যাক বক্সের। রবিবার ইন্দোনেশিয়া সরকার জানিয়েছে, শনিবার উড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ৬২ জন যাত্রীকে নিয়ে ভেঙে পড়েছিল ইন্দোনেশিয়ার শ্রীবিজয়া সংস্থার একটি বিমান। উড়ে যাওয়ার পরেই তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। পরে জাকার্তা শহরের উত্তরে এক জলাশয়ের কাছে পাওয়া যায় সেই বিমানের ধ্বংসাবশেষ। সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে দুটি ব্ল্যাক বক্স। সেখানে বস্তাবন্দি দেহের টুকরো পাওয়া গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে শনিবার উড়ান নেওয়া বিমানটির গন্তব্য ছিল পশ্চিম কালিমন্তান প্রদেশের পন্টিয়ানাক অঞ্চলে। ফ্লাইটরাডার টোয়েন্টি ফোর নামে এক ফাইট ট্রাকিং সার্ভিসের দেওয়া খবর অনুযায়ী, বোয়িং ৭৩৭-৫০০ বিমানটি মাটি থেকে ১০ হাজার ফুট ওপরে ওঠার এক মিনিটের মধ্যে নিখোঁজ হয়ে যায়। বিমানটি সর্বাধিক ১০ হাজার ৯০০ ফুট উচ্চতায় উঠেছিল। কিন্তু নিখোঁজ হওয়ার আগে তা মাটি থেকে ২৫০ ফুট উঁচুতে ছিল।
ফ্লাইটরাডার টোয়েন্টি ফোর জানিয়েছে, ওড়ার চার মিনিটের মধ্যেই এস জে ১৮২ ফ্লাইটটি নেমে আসতে থাকে। প্লেনটি চালায় বোয়িং ৭৩৭-৫০০ ‘ক্ল্যাসিক’ নামে এক সংস্থা। তার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার পিকে-সিএলসি (এমএসএন ২৭৩২৩)। ১৯৯৪ সালের মে মাসে বিমানটি উড়েছিল প্রথমবার। সেই হিসাবে প্লেনটি ২৬ বছরের পুরানো।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী দুপুর ১২ টা বেজে ৪০ মিনিটে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে যায়। জাকার্তার সুকর্ণ-হাত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানটি উড়ে গিয়েছিল। তাতে ১৩০ জন যাত্রী বহন করার ক্ষমতা আছে। কিন্তু গতকাল ৬২ জন যাত্রী নিয়েই উড়েছিল বিমান। তাদের মধ্যে ১০ জন শিশু ছিল। জাকার্তা থেকে পন্টিয়ানাক যেতে তার সময় লাগার কথা ৯০ মিনিট। কী কারণে বিমানটি ভেঙে পড়ল তার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনায় কতজনের মৃত্যু হয়েছে সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে কেউ বেঁচে নেই বলেই মনে করা হচ্ছে এখনও অবধি।

ঘটনার একদিন পরে ব্ল্যাকবক্স দু’টির খোঁজ মেলার ফলে আরও কিছু তথ্য জানা যাবে বলে আশা করছেন তদন্তকারীরা। খুব তাড়াতাড়ি সে দুটি উদ্ধার করে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
ইন্দোনেশিয়ার মেরিন পুলিশের পরিচালক মুহাম্মদ ইয়াসিন জানিয়েছেন, জাকার্তা উপকূলের লাকি ও লানচাং দ্বীপের বাইরের দিকের চক্র ঘিরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই জায়গায় সমুদ্র ২০ থেকে ২৩ মিটার গভীর বলে জানিয়েছেন তিনি। এলাকায় ১০টি জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। এসব জাহাজে নৌবাহিনীর ডুবুরিরা রয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, ভারি বৃষ্টি ও তীব্র বাতাসের কারণে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হতে পারে।