
দ্য ওয়াল ব্যুরো : প্রথমবার অগাস্টে, তারপর নভেম্বরে। কয়েক মাসের ব্যবধানে দু’বার কংগ্রেস নেতৃত্বের সমালোচনা করেছিলেন দলের প্রবীণ নেতা কপিল সিব্বল। বুধবার লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি বলেন, কপিল সিব্বল দলের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী ও তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিছু বলার থাকলে তিনি তাঁদেরই বলতে পারতেন।
অধীরবাবুর কথায়, “কোনও নেতা যদি ভাবেন কংগ্রেস তাঁর উপযুক্ত দল নয়, তিনি নিজে নতুন পার্টি গড়তে পারেন। অথবা যে পার্টিকে তিনি প্রগতিশীল ভাবেন, যেখানে গেলে তাঁর স্বার্থরক্ষা হবে মনে করেন, সেখানে যোগ দিতে পারেন। কিন্তু তারা এভাবে দলকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারেন না।”
অধীরবাবু প্রশ্ন তোলেন, যে নেতারা এখন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিচ্ছেন, তাঁরা বিহারে ভোটের সময় কোথায় ছিলেন? তাঁর কথায়, “ওই নেতারা যদি সত্যিই কংগ্রেসকে চাঙ্গা করতে চাইতেন, তাহলে কাজে সেকথা প্রমাণ করতেন। বিহারে ভোটের সময় তাঁরা কি কোনও কাজ করেছেন?”
সোমবার একটি সর্বভারতীয় দৈনিকের সাক্ষাৎকারে সিব্বল বলেন, এখন দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করে তুলতে হবে। যাঁরা অভিজ্ঞ, রাজনীতি বোঝেন, তাঁরা এই কাজ করবেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “এখন আর ভাবার সময় নেই।”
তাঁর কথায়, “অবিলম্বে কয়েকটি স্তরে কিছু কিছু কাজ করতে হবে। সাংগঠনিক কাজ করতে হবে। আরও নানা স্তরে কাজ করতে হবে। আমাদের চাই সক্রিয় ও বিচক্ষণ নেতৃত্ব। সবদিক ভেবে কাজে হাত দিতে হবে।” পরে তিনি বলেন, “কংগ্রেস কর্মীদের বুঝতে হবে, আমাদের দলের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।”
বিহারের পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাতের মতো রাজ্যের উপনির্বাচনেও খারাপ ফল করেছে কংগ্রেস। সিব্বল সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম, মানুষ আমাদের ওপরে সেভাবে আস্থা রাখছেন না। আমাদের এখন সবকিছু ভেবে দেখার সময় এসেছে। আমরা জানি কী করতে হবে। কংগ্রেসের এই সত্যটি মেনে নেওয়া উচিত।”
এক সাক্ষাৎকারে সিব্বল বলেন, “দলের অভ্যন্তরে আলোচনার কোনও জায়গা নেই। তাই আমি প্রকাশ্যে মুখ খুলতে বাধ্য হচ্ছি। আমি একজন কংগ্রেসম্যান। বর্তমানে যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, তাঁরা দেশের সব মূল্যবোধকে ধ্বংস করছেন। আমি প্রার্থনা করি, কংগ্রেস যেন মানুষের কাছে বিকল্প হয়ে উঠতে পারে।”
গত অগাস্ট মাসে সিব্বল বলেন, তাঁরা যে চিঠিটি দিয়েছিলেন, কেউ যদি সেটি দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন, সেখানে গান্ধী পরিবার বা কাউকে অসম্মান করার জন্য কিছু লেখা হয়নি। বরং এতদিন ধরে যেভাবে তাঁরা কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারই প্রশংসা করা হয়েছে।