
দ্য ওয়াল ব্যুরো : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বার্তা সম্পাদক। ৮৬ বছর বয়সী সাংবাদিক তথা সাংস্কৃতিক কর্মী কামাল লোহানি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন শনিবার। বাংলাদেশের মহাখালিতে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো লিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। এদিন সকাল ১০ টায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
কামাল লোহানির স্ত্রী দীপ্তি লোহানি কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। তাঁর দুই কন্যা ও এক পুত্র আছেন। তাঁরাও সাংবাদিকতা ও সাংস্কৃতিক কার্যকলাপে যুক্ত।

শুক্রবার লোহানির মেয়ে উর্মি লোহানি জানিয়েছিলেন, কিডনি ও ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর বাবা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার তিনি জানান, এদিন সকালেই বর্ষীয়ান সাংবাদিকের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এর আগে মে মাসে তিনি কিডনি ও ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দু’সপ্তাহ চিকিৎসার পরে তিনি বাড়ি ফেরেন। গত বুধবার ফের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

১৯৩৪ সালের ২৬ জুন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় শান্তালা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ও পরবর্তীকালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হন। ২০০৯ থেকে ‘১১ সাল পর্যন্ত তিনি শিল্পকলা অ্যাকাডেমির ডিরেক্টর জেনারেল ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি পান একুশে পদক।
লোহানির মৃত্যুর খবর জানাজানি হওয়ার পরেই অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আবদুল হামিদ শোকবার্তায় বলেন, “সাংবাদিকতা ছাড়া আমাদের ভাষা আন্দোলনেও কামাল লোহানি বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধেও তাঁর বড় অবদান ছিল।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোকবার্তায় বলেন, “আমরা একজন প্রগতিশীল ব্যক্তিত্বকে হারালাম।”