
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সারা দেশ জুড়ে নিজের হকের দাবিতে কৃষিবিলের বিরোধিতা করে আন্দোলন করছেন দেশের কৃষকেরা। সেই আন্দোলনকে সাধারণ মানুষ থেকে নেতা-অভিনেতা অনেকেই সমর্থন করেছেন। আবার অনেকেই এই আন্দোলনের মধ্যে খুঁজে পেয়েছে দেশদ্রোহীতা। অনেকটা হীরকরাজের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো অপরাধ! বলিউডের কুইন কঙ্গনাকে এর আগেও বহুবিষয় নিয়ে সরকারের সমর্থনে কথা বলতে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল, লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন ও পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের সংঘাত নিয়ে দিনভর উত্তাল ছিল দেশ। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বুধবার পর্যন্ত ট্যুইটারে একের পর এক টুইট করে তা নিয়েই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কঙ্গনা। অভিনেত্রী লেখেন,” এর আগে এই ধরনের সন্ত্রাসের ভয়েই নাগরিকত্ব অধিকার আইন কার্যকর করা যায়নি। আমি নিশ্চিত, কৃষি আইনও এ ভাবেই আটকে যাবে। ভোট দিয়ে আমরা জাতীয়তাবাদী সরকার এনেছি ঠিকই। তবে বার বার জিতে যাচ্ছে এই জাতীয়তাবাদ বিরোধীরাই।”
Sick and tired of riots and blood bath almost every month , Delhi, Bangalore and now again Delhi #दिल्ली_पुलिस_लठ_बजाओ #RedFort pic.twitter.com/pWhXtOrqkx
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) January 26, 2021
কঙ্গনা শুধুমাত্র টুইট করেই থেমে থাকেননি! তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। সেখানে তিনি বলেন, “বন্ধুরা আমরা দেখতে পাচ্ছি যে কীভাবে আজকের গণতন্ত্র দিবসের দিন লালকেল্লাতে খালিস্তানের পতাকা টাঙানো হল। যেখানে পুরো দেশ করোনার সঙ্গে লড়াই করছে, শুধু লড়াই নয়, সেটাতে জিতছেও! আমাদের যে ভ্যাক্সিন রয়েছে তা আমরা শুধু পাচ্ছিনা, তারসঙ্গে সেটা অন্য দেশেও পাঠানোর ব্যবস্থা করছি…যাঁরা নিজেদের কৃষক বলছেন তাঁরা আসলে আতঙ্কবাদী, সন্ত্রাসবাদী। আর এগুলো সকলের সামনেই এই তামাসা হচ্ছে…যাঁরা এই সোকলড কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন তাঁদের জেলে ভরা দরকার। এরা দেশের সরকার, সুপ্রিম কোর্টকে মজাক বানিয়ে রেখে দিয়েছে!” স্পষ্টতই তাঁর বক্তব্য থেকে বোঝা যায় তিনি কৃষক আন্দোলনের সমর্থকদের ও কৃষকদের সন্ত্রাসবাদী বলে দাগিয়ে দিচ্ছেন।
কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন ও কৃষকদের সমর্থন করা নিয়ে গত মাসেই কঙ্গনার সঙ্গে এক দফা টুইট যুদ্ধ হয়েছিল পাঞ্জাবি অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জের। বলিউডের অন্যতম অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ারও কৃষকদের পাশে দাঁড়ান। তাই তাঁর বিরুদ্ধেও কৃষকদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন কঙ্গনা। তিনি বলেছিলেন, ‘ইসলামপন্থী ও ভারতবিরোধী সংস্থাগুলির থেকে প্রশংসা আদায় করার জন্যই প্রিয়ঙ্কা কৃষকদের সমর্থন করছেন। বিদেশে কাজ পাওয়ার জন্যই এ সব করে থাকেন তিনি। মঙ্গলবারের ঘটনায় কৃষক আন্দোলনের সমর্থনকারীদের জেলে পাঠানোর কথা বলে কঙ্গনা দিলজিৎ আর প্রিয়াঙ্কাকেই ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে করছেন অনেকে। টুইটারে দিলজিৎ আর প্রিয়াঙ্কার নাম উল্লেখ করে আক্রমণও করেছেন কঙ্গনা। লালকেল্লায় খলিস্তানি পতাকা উত্তোলনের ছবি দিয়ে লিখেছেন,”দিলজিৎ আর প্রিয়াঙ্কা, তোমাদের এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিতেই হবে। আজ গোটা বিশ্ব আমাদের দেখে হাসছে! এটাই তো চেয়েছিলে তোমরা। অভিনন্দন।”