
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠায় এবং তার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় পদত্যাগ করলেন বিজেপি শাসিত কর্নাটকের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ জারকিহোলি। এই ঘটনায় গেরুয়া শিবির যে বেশ চাপের মুখে, তা বলাই বাহুল্য। ভিডিওয় স্পষ্ট দেখা গেছে, এক মহিলার সঙ্গে অসংলগ্ন অবস্থায় রয়েছেন মন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই মহিলাকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই কাজ করেন মন্ত্রী।
যদিও বিজেপি মন্ত্রী জারকিহোলি ভিডিওটি ভুয়ো বলে দাবি করেছেন। তিনি এও বলেন, যদি এটি সত্যি প্রমাণিত হয় তবে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন তিনি। তার পরে অবশ্য মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। জানান, নীতির জায়গা থেকে এই পদ ছেড়েছেন। ইয়েদুরাপ্পাকে লেখা পদত্যাগপত্রে তিনি লেখেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্যের থেকে অনেক দূরে। স্বচ্ছ তদন্ত করা হোক। আমি নির্দোষ প্রমাণিত হবো, এই আত্মবিশ্বাস আমার আছে। আমি এখন নীতির জায়গা থেকে মন্ত্রিত্ব ছাড়ছি, আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করুন।”
গতকাল কর্নাটকের এক সমাজকর্মী মন্ত্রীর ভিডিওটি প্রকাশ করেন। ওই ভিডিওতে এক তরুণীকে সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে যৌনতার প্রস্তাব রাখতে দেখা যায় মন্ত্রীকে। রমেশ জারকিহোলির একটি অডিও ক্লিপও প্রকাশ্যে এসেছে। মঙ্গলবার সেই ভিডিও ও অডিও ক্লিপ সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়। সমাজকর্মী দাবি করেন, বিদ্যুৎ দফতরে চাকরির লোভ দেখিয়ে তরুণীকে ফুঁসলিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়তে বাধ্য করেছিলেন রমেশ। থানায় দায়ের হয় যৌন হেনস্থার অভিযোগ। ওই সমাজকর্মী জানিয়েছেন, মেয়েটির পরিবারের তরফে সাহায্য চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছে।
অভিযুক্ত মন্ত্রী প্রথম থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তাঁর কথায়, “আমি এই মহিলা এবং অভিযোগ সম্পর্কে কিছু জানি না। আমি মাইসোরে ছিলাম এবং চামুণ্ডেশ্বরী মন্দিরে গিয়েছিলাম। আমি এই মহিলার সঙ্গে কোনও দিন কথাও বলিনি। এটা খুবই মারাত্মক অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছি।”
তবে এ নিয়ে রাজনৈতিক আক্রমণ শুরু হয়েছে স্বাভাবিক ভাবেই। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে রাস্তায় নেমেছেন রাজ্যের কংগ্রেস সদস্য ও সমর্থকরা। প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ২০১৯ সালে যে ১৭ জন বিধায়ক বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন, রমেশ তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ৬০ বছরের এই নেতা বেশ প্রভাবশালী কর্নাটকে।