
দ্য ওয়াল ব্যুরো : দিল্লির স্বরাষ্ট্র দফতর সেখানকার সরকারের হাতে নেই। তা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে। গত ৩৬ ঘণ্টায় রাজধানীতে ঘটে গিয়েছে দু’টি বড় অপরাধ। শহরের খিচাড়িপুর অঞ্চলে খুন হয়েছে আট বছরের এক শিশুকন্যা। কালকাজিতে ইভটিজারদের হাতে গুরুতর আহত হয়েছে ১৭ বছরের এক তরুণ। এই পরিস্থিতিতে শনিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বললেন, রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। দু’টি অপরাধের দ্রুত কিনারা করার জন্য তিনি অমিত শাহ ও দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বাইজালের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
কালকাজিতে গত শুক্রবার ইভটিজিং-এর প্রতিবাদ করায় তিন যুবক ১৭ বছরের এক কিশোরকে মারধর করে। পরে তাকে ছুরি মারে। আহতকে এইমসের ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুক্রবার আহতের দিদি জানিয়েছে, সে তার ভাইয়ের সঙ্গে রাস্তা দিয়ে আসছিল। এমন সময় তিন যুবক তাদের পিছু নেয়। তার উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্য করতে থাকে। তার ভাই প্রতিবাদ করলে তাকে মারতে থাকে। পরে তার পেটে ছুরি মেরে পালায়।
খিচাড়িপুর থেকে যে শিশুকন্যাটি অপহৃত হয়েছিল, তার দেহ পাওয়া যায় শুক্রবার সকালে। গাজিয়াবাদের মোদীনগরে আখের ক্ষেতে দেহটি পড়ে ছিল। অপহরণ ও খুনের অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা মৃতের বাড়ির আশপাশেই থাকত। অভিযুক্তদের মধ্যে আছে জনি ওরফে শিবা, তার ভাই নরেশ, কৈলাস ও তরুণ। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) দীপক যাদব বলেন, কল্যাণপুরিতে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের জন্য ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে।
শিশুকন্যাকে খুনের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি। মৃত শিশু যে অঞ্চলে থাকত সেখানকার একটি ওয়ার্ডে উপনির্বাচন হবে রবিবার। আম আদমি পার্টির নেত্রী তথা কালকাজির বিধায়ক অতিশি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া সত্ত্বেও দিল্লি পুলিশ শিশুটিকে বাঁচাতে পারেনি। পুরসভার উপনির্বাচনে বিজেপি নেতারা যখন এলাকায় আসেন, তখন বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দিল্লির মানুষ, বিশেষত দলিতরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। কারণ দিল্লি পুলিশ তাঁদের জীবন রক্ষা করতে ব্যর্থ।