
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নজির গড়ল কলকাতা। করোনা আবহে দীপাবলির রাতে কার্যত নিঃশব্দ মহানগর! একই ছবি জেলাগুলিতেও। পাহাড় থেকে কাকদ্বীপ কার্যত সংযম দেখাল পশ্চিমবঙ্গ।
বেশি বাজি পুড়লে দূষণ বাড়ে এ কথা সকলেরই জানা। শব্দবাজিতে বিপদ আরও বেশি। কোভিড রোগীদের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে। যা বিপজ্জনক। করোনা পরিস্থিতিতে জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল বাংলায় এবার বাজি পোড়ানো ও বিক্রি নিষিদ্ধ। আদালতের রায়ের পর অনেকেরই সংশয় ছিল বাস্তবায়িত হবে কিনা তা নিয়ে। কিন্তু এদিন সন্ধ্যা থেকে যা দেখা গেল তাতে নজির গড়ল কলকাতা থেকে জেলা।
তবে খুচখাচ দু’একটি শব্দবাজি ফাটেনি যে তা নয়। কিন্তু তা একেবারেই ব্যতিক্রম। অনেকের মতে গণসচেতনতা তৈরি না হলে এ জিনিস সম্ভব হতো না।
আদালত রায় দিয়েছিল। পুলিশও অটোয় মাইক লাগিয়ে প্রচার করে ছিল এলাকায় এলাকায়। পরিবেশবিদদের অনেকের মতে কলকাতা সহ গোটা বাংলা এক অভূতপূর্ব নজির তৈরি করল। গোটা রাজ্যের জনগণের কুর্নিস প্রাপ্য।
কলকাতা আবেগের শহর। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান জেতা থেকে দেব-জিতের সিনেমা রিলিজ–সবেতেই হইহই পড়ে যায়। এই কোভিডের মধ্যেও মোহনবাগানের আইলিগ হাতে পাওয়ার উচ্ছ্বাস নিয়ে গিজগিজে ভিড়ের ছবি দেখেছিল কলকাতা। কিন্তু দীপাবলির রাতে কলকাতা সহ জেলাগুলো দেখাল, তারা দায়িত্বশীল। অমানবিক নয়।
হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দা আর্য ভট্টাচার্য। প্রতিবছর নিজে হাতে তুবড়ি এবং উড়ন্ত তুবড়ি বানান। বছর ৩৭-এর এই ব্যাঙ্ক কর্মচারীর এই রুটিন গত বিশ বছরের। এবার তিনিও সেসবের মধ্যে যাননি। আর্য বলেন, এবছরটা একেবারে অন্যরকম। আশা করি আগামী বছর সব আগের মতো হয়ে যাবে।