
দ্য ওয়াল ব্যুরো : সোমবারই বিএসপি নেত্রী মায়াবতী রাজস্থানে তাঁর দলের ছয় বিধায়কের উদ্দেশে হুইপ জারি করেছেন, তাঁরা যেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটের বিরুদ্ধে ভোট দেন। মঙ্গলবার তিনি বললেন, “বিধায়ক চুরি করার জন্য অশোক গেহলোটকে এবার শিক্ষা দেব।” মায়াবতীর ছয় বিধায়ক অবশ্য গত বছরই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁরা মায়াবতীর হুইপ মানতে বাধ্য কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
২০০ আসনবিশিষ্ট বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে আছেন ১০২ বিধায়ক। গরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য যতজনের সমর্থন দরকার, তার চেয়ে মাত্র একজন বেশি আছেন মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে। বিএসপি-র বিধায়করা গত সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেসে যোগ দেন। এই যোগদানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিজেপি নেতা মদন দিলাওয়ার। বিএসপি-ও কোর্টে আবেদন করেছে, বিজেপি নেতার সঙ্গে তাদেরও আবেদন করতে দেওয়া হোক। আবেদনে বলা হয়েছে, বিএসপি জাতীয় দল। কোনও একটি রাজ্যে বিধায়করা অন্য দলে যোগ দিতে পারেন না।
মায়াবতী বলেন, “বিএসপি-র আগেই কোর্টে যেতে পারত। কিন্তু আমরা কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য একটা সুযোগের অপেক্ষা করছিলাম। এখন আমরা আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা দরকার হলে সুপ্রিম কোর্টে যাব।”
বিএসপি আদালতে যে আবেদন করেছে, তাতে অনেকেরই ধারণা যে, কংগ্রেস সরকারকে ফেলতে তারা বিজেপির সঙ্গে সহযোগিতা করবে। কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, বিজেপির নির্দেশেই চলছেন মায়াবতী। দলিত নেত্রী সেই অভিযোগের তীব্র বিরোধিতা করেছেন।
তিনি বলেন, “কংগ্রেস হাইকম্যান্ড কি দেখতে পাচ্ছে না, রাজস্থানে কে চোরের মতো আচরণ করেছে? তারা কি গেহলোটের কাজকর্ম সম্পর্কে জানে না? তারা খুব সহজেই বিএসপি-র দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে পারে। তারা নিজেদের দোষ ঢাকতে চাইছে। তাই বলছে, আমরা নাকি বিজেপির হাতের পুতুল।”
গেহলোটের সমালোচনা করে মায়াবতী বলেন, “রাজস্থানে ভোটের ফল বেরোনর পরে আমাদের ছয় বিধায়ক কংগ্রেসকে নিঃশর্ত সমর্থন করেছিলেন। দুর্ভাগ্যের বিষয়, অশোক গেহলোট অসাধু উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের ছয় বিধায়ককে তাঁর দলে যোগ দেওয়ালেন। তিনি অসাংবিধানিক কাজ করেছিলেন। এর আগে ক্ষমতায় থাকার সময়েও তিনি একই কাজ করেছিলেন।”