
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোমবার নন্দীগ্রামের তেখালিতে সভা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, তিনি এ বার নন্দীগ্রামে প্রার্থী হবেন। এ কথা বলার সময়ে তিনি প্রথমে এও বলেছিলেন, “ভবানীপুরকেও আমি অবহেলা করছি না। সেখানেও ভাল প্রার্থী দেব।” তবে পরে, বক্তৃতার একেবারে শেষে বলেন, “ভবানীপুর আমার বড় বোন, নন্দীগ্রাম আমার ছোট বোন। পারলে আমি দুটো আসনেই লড়ব।”
মমতার এ কথার মধ্যে তাঁর ‘দুর্বলতা’ সন্ধানে নেমে পড়লেন বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, লোকসভা ভোটের পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল, “মমতা ভবানীপুরকে আর নিরাপদ আসন বলে মনে করছেন না। ওখানে প্রার্থী হলে হেরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আসন বদলানোর কথা ভাবছেন।” তাঁর কথায়, “উনি এমন উন্নয়ন করেছেন যে সেই জোয়ারে সব ভেসে গিয়েছে।”
শুভেন্দু-মমতা দ্বৈরথ নিয়েও এদিন টিপ্পনী করেন মান্নান সাহেব। তাঁর কথায়, “মমতার মনে শুভেন্দুকে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। উনি ভূত দেখছেন। নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সময়ে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি বাইক নিয়ে আগে ঢুকেছিলেন। পরে ওই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু অধিকারীই। মমতা এখন সেই আন্দোলনের ক্রেডিট নিতে চাইছেন।”
এ ব্যাপারে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুরে পরাজয় মেনে নিলেন। বুঝিয়ে দিলেন তাঁর নিজের কেন্দ্র সেফ নয়।” যাদবপুরের বিধায়ক আরও বলেন, “গতবার তো বলেছিলেন শুভেন্দুকে দাঁড় করাচ্ছেন বলে শহিদের মাকে ওখানে প্রার্থী করতে পারছেন না। এবার তো শুভেন্দু নেই। তাহলে শহিদের মা নন কেন? আসলে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বাঁচতে চাইছেন।কিন্তু পারবেন না।”
