
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হাথরাসের নৃশংস ও মর্মান্তিক গণধর্ষণ কাণ্ডে গোটা দেশ উত্তাল। তারই মধ্যে খবর এল, বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে আরও এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৩ জনের বিরুদ্ধে। মধ্যপ্রদেশের খারগোনে জেলার এই ঘটনায় এখনও কেউ ধরা পড়েনি বলে বুধবার জানিয়েছে পুলিশ।
নাবালিকার দাদা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে তিন অভিযুক্ত হঠাৎই তাদের গ্রামের বাড়িতে এসে জল খেতে চায়। তখনই আচমকা বাড়ির ভিতরে ঢুকে চড়াও হয় তারা। দাদাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। তাঁর দাবি, তিনি দৌড়ে বেরিয়ে লোকজন ডাকছিলেন, সেই সুযোগে বোনকে নিয়ে পালিয়ে যায় ওই তিন জন। অভিযুক্তদের ধরতে দৌড় লাগান দাদাও।
পুলিশ সুপার শৈলেন্দ্র সিং চৌহান জানিয়েছেন, লোকজন ডেকে অভিযুক্তদের তাড়া করেন নাবালিকার দাদা। কিন্তু তারা চোখের নাগালে চলে যায়। অবশেষে খোঁজাখুঁজি করার পরে একটি খেত থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকা, গণধর্ষণের চিহ্ন স্পষ্ট বলেই দেখেন সকলে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসপি।
এই ঘটনার ঠিক আগেই মারা গিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের তরুণী। ১৫ দিন আগে গণধর্ষণ করা হয়েছিল ওই তরুণীকে। সোমবার গভীর রাতে দিল্লির হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিজের গ্রামেই একটি পরিত্যক্ত জায়গায় তুলে নিয়ে গিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় ওই তরুণীর উপর। শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করার পাশাপাশি তাঁর জিভ ছিঁড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ধর্ষকরা। ক্ষতবিক্ষত তরুণীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। ঘটনার তিন দিনের মাথায় মোট চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আপাতত জেলে রয়েছে তারা।
তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, রাতে বাড়ি না ফেরায় তাঁরা স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ কোনও গা করেনি। আরও আগে যদি মেয়েকে উদ্ধার করা যেত তাহলে হয়তো প্রাণে মরতে হতো না।
এই ঘটনায় ক্ষোভে-প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। সেই রেশ মেলানোর আগেই ফের মর্মান্তিক খবর এল মধ্যপ্রদেশ থেকে। আরও এক নাবালিকা শিকার হয়েছে গণধর্ষণের। দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠে গেল।