
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হাওড়া: পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে নির্মীয়মান আবাসন থেকে উদ্ধার হল দশ বছরের শিশুর দেহ। বাড়ি থেকে ‘ঘুড়ি ওড়াতে যাচ্ছি’ বলে বেরিয়ে ছিল বালির শিবু চক্রবর্তী লেনের বাসিন্দা দশ বছরের নীরজ দাস। স্থানীয় বালি শিক্ষানিকেতনের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। রবিবার বিকেলে ঘুড়ি ওড়ানোর নাম করে বেরিয়ে ছিল সে। কিন্তু সন্ধ্যে হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি। ছেলে বাড়িতে না ফেরায় উদ্বিগ্ন পরিবার বালি থানায় নিখোঁজের লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর স্থানীয় একটি নির্মীয়মান বহুতল থেকে উদ্ধার হয় পঞ্চম শ্রেণির ওই নিখোঁজ ছাত্রের দেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে স্থানীয় একটি নির্মীয়মান বহুতলে কর্মরত শ্রমিকরা লিফট তৈরি করছিলেন। সেই সময় ফাঁকা গর্তে একটি শিশুর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। এরপর বালি থানার খবর দিলে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। পরে পরিবারকে খবর দিয়ে দেহ শনাক্ত করানো হয় এবং ময়নাতদন্তের জন্য সেটিকে পাঠানো হয়।
সূত্রের খবর, মৃত নীরজের দেহে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ও মাথায় চোট আছে। তা দেখে পরিবারের লোকের দাবি, কেউ বা কারা তাঁদের ছেলেকে খুন করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, গত রবিবার যদি নীরাজের পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে সেক্ষেত্রে দেহে কোনও পচন ধরেনি কেন? এটা অস্বাভাবিক বলেই মনে হচ্ছে পুলিশেরও। বালিতে সরস্বতী পুজোয় ঘুড়ি ওড়ানোর চল রয়েছে। বলি থানার পুলিশ প্রাথমিক ধারণা, স্থানীয় নির্মীয়মান আবাসনের ছাদে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে ছিল শিশুটি। কিন্তু লিফটের জন্য রাখা ফাঁকা অংশে পড়ে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে নীরজের। তবে পরিবারের তরফে যদি খুনের মামলা রুজু করা হয় সেক্ষেত্রে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করবে পুলিশ।
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ছোট্ট নিরাজের বাবা-মা সহ আত্মীয়রা। বালির শিবু চক্রবর্তী লেনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। যদিও পরিবার বারংবার দাবি করছে, এই মৃত্যু কোনভাবেই পড়ে গিয়ে হয়নি। পুরো ঘটনার তদন্ত চাইছেন ছোট্ট নিরাজের পরিবার।