
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সাহস থাকলে ৩৭০ ধারা ফেরানোর কথা লিখুন ইস্তাহারে। মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কংগ্রেস-এনসিপি জোটের দিকে এই ভাষাতেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৩৭০ ধারা বিলোপ করে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার পর সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। জলগাওঁয়ে নির্বাচনী সভার তারই জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
মহারাষ্ট্রে এ দিন ভোটের প্রচারে গিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীও। তাঁকেই চ্যালেঞ্জ উদ্দেশ্য করে জনতার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের কি মনে হয় এটা ফেরানোর সাহস কারও আছে? যদি কেউ এই স্পর্ধা দেখান তা হলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু অবশিষ্ট থাকবে?”
সংবিধানের অস্থায়ী ৩৭০ ধারা বিলোপ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছে দ্বিতীয় মোদী সরকার। সংবিধানের অস্থায়ী ৩৭০ ধারা বিলোপের কথা দীর্ঘদিনই বিজেপির ইস্তাহারে ছিল। অগস্টের প্রথম সপ্তাহে একই সঙ্গে অধ্যাদেশ জারি করে ও সংসদে বিল এনে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে সরকার। তখন থেকেই কংগ্রেস-সহ প্রায় সব বিরোধী দলই বিরোধিতা করেছে বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের। কংগ্রেস জানিয়েছিল, জম্মু-কাশ্মীর একটি রাজ্য হিসাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, তাই তাকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা যাবে না।
এরই জবাবে প্রধানমন্ত্রী রবিবার বলেন, “আমি বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ করছি। যদি সাহস থাকে তা হলে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ… ৩৭০ ও ৩৫ক ধারা… যা আমরা বিলোপ করেছি… তা ফেরানোর কথা আপনাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে দিন।” এই কথার জের টেনে তিনি বলেন, সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে তিনি জাতীয়তাবোধ জাগিয়ে তুলেছেন।
মহারাষ্ট্রে একটি জনসভায় রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেন, দেশের মূল সমস্যা এড়িয়ে যেতেই ৩৭০ ধারা ও চন্দ্রাভিযানের জিগির তুলছে বিজেপি।
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নীতি ছিল “এক দেশ, এক সংবিধান, এক নিশান নীতি”। ৩৭০ ধারা বিলোপ করার ফলে তাদের আলাদা সংবিধান ও পতাকার অস্তিত্বও শেষ হয়ে যায়।
জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্য উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রপুঞ্জে চিঠি দিয়েছিল পাকিস্তান। তাতে জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। তখনও রাহুলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিল বিজেপি। নির্বাচন মহারাষ্ট্রে হলেও সেখানেও জাতীয়তাবাদী তাস খেলে ভোটের মেরুকরণ করতে চাইছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে তাদের সবচেয়ে বড় জোটসঙ্গী শিবসেনা।