
দ্য ওয়াল ব্যুরো : শনিবার ভারতে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়। দেশ জুড়ে মোট ৩৩৫১ টিকা কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ৯১ হাজার মানুষ। দিনের শেষে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেন, “আমি দারুণ হালকা বোধ করছি।” তিনি জানান, ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য কাউকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি।
এদিন দিল্লি এইমসের সাফাইকর্মী মনীশ কুমারকে যখন প্রথম ভ্যাকসিনটি দেওয়া হয়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ওই ভ্যাকসিন সঞ্জীবনীর কাজ করবে। তাঁর কথায়, “কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওই ভ্যাকসিন হবে সঞ্জীবনী। আমরা এই লড়াইয়ে বিজয়ী হব।”
পরে তিনি বলেন, “গতবছর করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা অনেকাংশে বিজয় অর্জন করেছি। গত তিন-চার মাসে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যায়, আমরা ধীরে ধীরে কোভিডের বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে চলেছি।”
আমাদের দেশে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন নামে দু’টি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। দু’টি প্রতিষেধকেরই দু’টি করে টিকা নিতে হবে। ভারত সরকার এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন নির্মাতা দুই সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেকের থেকে কিনেছে ভ্যাকসিনের ১ কোটি ২০ লক্ষ ডোজ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন বলেন, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ সম্পূর্ণ করতেই হবে। তা না হলে টিকায় কোনও কাজ হবে না। আরও একটা ব্যাপার স্পষ্ট করে বললেন প্রধানমন্ত্রী। টিকা নিলেই যে কড়াকড়ি কমে যাবে তেমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। কোভিড প্রোটোকল মেনেই চলতে হবে সাধারণ মানুষকে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, সোশ্যাল ডিস্টেন্সিংও জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি দেশবাসীকে মনে করাতে চাই, করোনার দুটি ডোজ নেওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন দুটি ডোজের মাঝে প্রায় এক মাসের মতো ব্যবধান থাকবে।” মোদী বলেন, এই সময় বেশি সতর্ক হয়ে চলতে হবে। পারস্পরিক দূরত্ব মানতে হবে লোকজনকে।
একুশ সালে মোদীর ভ্যাকসিন মন্ত্র হল ‘দাওয়াই ভি অউর কড়াই ভি’। টিকাকরণ শুরু হওয়ার পরেও সতর্কতায় কোনও ঢিলেমি হবে না। প্রতিষেধক যেমন থাকবে তেমনি সমান তালে থাকবে কড়াকড়িও। মোদী বলেছিলেন, প্রতিষেধকও দরকার আবার কড়া সতর্কতাও। করোনা সংক্রমণ ক্রমেই নিয়ন্ত্রণে আসছে। নতুন সংক্রমণও কমেছে দেশে। এমন পরিস্থিতিতে সব বিধিনিষেধ ভুলে গেলে চলবে না। ঠিক যেভাবে কোভিড প্রোটোকল মেনে এতদিন এক জোট হয়ে দেশবাসী করোনা মহামারীর মোকাবিলা করেছে, পরবর্তীকালেও এমনই ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস এই স্বাস্থ্য সঙ্কট থেকে রেহাই দেবে।