
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহরম পালনকে কেন্দ্র করে চরম অশান্তি ছড়াল জম্মু কাশ্মীরের একাধিক জায়গায়। এ বছর করোনা আবহে প্রশাসনের বিশেষ অনুমতি ছাড়া মহরমের তাজিয়া তা জুলুস বের করা যাবে না বলে ঠিক হয়েছিল। তা সত্ত্বেও বেশ কিছু মানুষের উপর কড়া অ্যাকশন নেয় পুলিশ। কয়েক জায়গায় ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এছাড়াও এন্তার ব্যবহার করা হয় পেলেট গান।
অভিযোগ, পুলিশি অনুমতি ছাড়াই জুলুস বের করে জমায়েত করেন কিছু মানুষ। তার ফলে কড়া হাতে পরিস্থিতি দমন করতে বাধ্য হয় পুলিশ। এর ফলে অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েক জনের আঘাত বেশ গুরুতর।
জানা গেছে, শনিবার শ্রীনগরের কিছু এলাকায় কয়েক জন মহরমের তাজিয়া তথা জুলুস বের করেছিলেন। জুলুস যখন বেমিনা চৌকের পাশে যায়, তখনই জুলুসে অংশগ্রহণ করা সাধারণ মানুষ আর পুলিশ কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
এক পুলিশ আধিকারিক জানান, শ্রীনগরের কয়েকটি এলাকায় করোনার কারণে নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। কিন্তু সে সব উপেক্ষা করেই জুলুস বের করা হয়। এর ফলে শ্রীনগর এবং বদগামের কয়েকটি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয় দ্রুত। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা রোখার জন্য এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পুলিশও মোতায়েন করা হয়। কিন্তু শেষমেশ তেমনটা ঘটলই, তাও আবার পুলিশি সক্রিয়তার জেরেই।
শ্রীনগরের বাসিন্দা, ইকবাল আহমেদ নামে ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শোক পদযাত্রা করা হচ্ছিল সমস্ত নিয়ম মেনে। শান্তিপূর্ণ শোকযাত্রায় মহিলারাও অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারি বাহিনীর সদস্যরা হঠাৎই পেলেট গান ছুড়তে শুরু করেন।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, অন্তত ৩০ জন পেলেট ও টিয়ার গ্যাসের জখম নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, কাশ্মীরের এই সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। ১৯ জনের চিকিৎসা চলছে এই মুহূর্তে।
শ্রীনগরের সাধারণ বাসিন্দারা বলছেন, পুলিশের হামলায় আহত আরও অনেক মানুষকে শহরের অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওয় দেখা যায়, পুলিশ ভ্যানে করে টহল দিয়ে শোকযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের সতর্ক করে দিচ্ছে। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস এবং পেলেট গান ছোড়ে পুলিশ।