
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: বেলুড়ের এক যুবকের রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। তদন্তে পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করে যুবকের পরিবার। পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিও হয় তাঁদের। মৃতের পরিবার এই ঘটনায় ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলুড়ের রামধন ঘোষ লেনের বাসিন্দা ছিলেন মুকেশ সিং। তিনি স্থানীয় এক ব্যবসায়ী মাখন সিংয়ের গাড়ির চালক ছিলেন। পয়লা মার্চ অন্যান্য দিনের মতোই মাখনের গাড়ি নিয়ে মুকেশ ডানকুনিতে যান। আশ্চর্যজনকভাবে তারপর থেকে তাঁর খোঁজ পাচ্ছিলেন না মুকেশের পরিবার। ফলে অগত্যা বেলুড় এবং ডানকুনি থানায় মিসিং ডায়েরি করেন মুকেশের পরিবার।
মুকেশের বাড়ির লোকেদের দাবি, মাখন সিংয়ের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানতে পারেন, মুকেশ ওই দিন মাখনের সঙ্গে গিয়ে ছিলেন ঠিকই। কিন্তু অতিরিক্ত মদ্যপান করায় মাখন তাঁকে ডানকুনিতেই ছেড়ে গাড়ি নিয়ে বাড়ি চলে আসেন। তারপর কি হয়েছে মাখন কিছু জানেন না বলে দাবি করেছিলেন।
কিন্তু এর পরেই বুধবার মুকেশের পরিবারকে ডানকুনি থানার সদস্যরা খবর দেন, শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের মর্গে একটি যুবকের দেহ রাখা আছে। সেখানেই তড়িঘড়ি যান তাঁরা। সেখানে দেহ শনাক্ত করতে গিয়ে দেখে যুবকটি আর কেউ না মুকেশ। এরপরেই দেহ নিয়ে তাঁরা বেলুড়ে এসে মাখন সিংয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
মুকেশের পরিবারের অভিযোগ, ”মালিক তাঁর অন্যান্য কর্মীদের নিয়ে মারধর করিয়ে তাঁদের ছেলেকে খুন করিয়েছে।” যদিও একথা মানতে নারাজ বেলুড় থানা। বেলুড় থানার বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছে মুকেশের পরিবার।
মৃতের ভাই রাজেশ কুমার সিংয়ের অভিযোগ, ”ভাইকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে ঠিকমত তদন্ত করেনি।” সঠিক তদন্তের দাবি করেন তিনি। সন্ধ্যায় মৃতদেহ নিয়ে মৃতের পরিবার বিবেকানন্দ কলোনির মালিকের বাড়ির নিচে বিক্ষোভ দেখান।
ইতিমধ্যে বেলুড় থানার পুলিশ পৌঁছালে তাদের সামনেই মালিকপক্ষের সঙ্গে বচসা ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে মৃতের পরিবারের লোকজন। উত্তেজনা বেশি হলে বেলুড় থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে অবস্থা সামাল দেয়। বেলুড় থানা সূত্রে জানানো হয়েছে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।