দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিজেদের মতাদর্শ থেকে পৃথক কিছু হলেই তাকে প্রাধান্য দিচ্ছে না সামাজিক মাধ্যমগুলো। অভিযোগ উঠছে এমনটাই। যার মধ্যে নাকি প্রথমেই উঠে আসে টুইটারের নাম। অভিযোগ, রক্ষণশীলদের প্রতি সেখানে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। এমনই নানা বিষয়ে মতামত জানতে টুইটারের সিইও ও উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের আলোচনার জন্য ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটি।
ওই কমিটির প্রধান অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করাটা সবচেয়ে আগে দরকার। বিশেষ কিছু মতাদর্শকে প্রাধান্য দিয়ে, বাকিদের দাবিয়ে রাখলে সেটা পক্ষপাত ছাড়া আর কিছুই নয়। এই প্রসঙ্গে বামপন্থী কিছু পোস্টকে বিঁধে তাঁর দাবি, বিজেপি বা সমধর্মী মতবাদকে অনেকদিন ধরেই বাতিলের খাতায় ফেলছে টুইটার। এমনকী বেশ কিছু দক্ষীণপন্থী হ্যান্ডেল বা অ্যাকাউন্টকে ‘শ্যাডো-ব্যান’ (সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাবে কোনও অ্যাকাউন্টকে ব্লক করে দেওয়া বা সেই অ্যাকাউন্ট থেকে হওয়া পোস্ট বা কমেন্ট মুছে দেওয়া) করার অভিযোগও এসেছে টুইটারের বিরুদ্ধে। সামাজিক মাধ্যম সবসময়ই জনগনের চিন্তাভাবনাকে প্রাধান্য দেয়। সেখানে নিরপেক্ষ মতামতটাই জরুরি। এই বিষয়ে আলোকপাত করার জন্যই টুইটারের সর্বময়কর্তাদের আলোচনার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।
The Parliamentary Commitee on Information Technology will examine the issue:
SAFEGUARDING CITIZENS RIGHTS ON SOCIAL/ONLINE NEWS MEDIA PLATFORMS
MEITY & TWITTER will present their views.
You can tweet/email your views:
[email protected] pic.twitter.com/bDYoSv5OHd— Anurag Thakur (@ianuragthakur) February 5, 2019
অনুরাগ ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটিতে ২১ জন লোকসভা ও ১০ জন রাজ্যসভার সাংসদ আছেন। কমিটি সূত্রে খবর, ১ ফেব্রুয়ারি টুইটারের উচ্চপদস্থ কর্তাদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। টুইটার ইন্ডিয়ার কর্তারা আলোচনার জন্য হাজির হলেও তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয়নি। কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, টুইটারের সিইও ও আনুষঙ্গিক উচ্চপদের কর্তারা ছাড়া এই আলোচনা হওয়া সম্ভব নয়। যেহেতু মার্কিন মুলুক থেকে টুইটার আধিকারিকদের ভারতে পৌঁছতে সময় লাগবে, তাই আলোচনার দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে বিজ্ঞানী আনন্দ রঙ্গনাথন এবং চিত্রপরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রির টুইট অজানা কারণের জন্য আইনি দোহাই দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছিল। তারপরই মতাদর্শগত বিরোধের অভিযোগ ওঠে টুইটারের বিরুদ্ধে। টুইটার ব্যবহারকারীদের দাবি, বামপন্থী মনোভাবের কিছু ব্যক্তি টুইটার হ্যান্ডেলের উপর আধিপত্য বজায় রাখছে। কাজেই বিরুদ্ধ মনোভাবের কোনও টুইট পোস্ট করার পরেই সেগুলিকে আটকে দেওয়া হচ্ছে। হয় সেই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট ব্যান করে দেওয়া হচ্ছে, অথবা তাঁর করা পোস্ট ভিউয়ারদের কাছে পৌঁছতেই দেওয়া হচ্ছে না। এই বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ করার জন্য গত রবিবারই বহু টুইটার ব্যবহারকারী দিল্লিতে নীরব প্রতিবাদ করেন।
টুইটারে কি সত্যিই দুই বিরোধী পন্থীদের তরজা শুরু হয়ে গেছে? এই প্রসঙ্গে নিজের মতামত জানাতে গিয়ে বামপন্থীদের আধিপত্যকে মেনে নিয়েছেন টুইটারের সিইও জ্যাক ডর্সী। তিনি স্বীকার করেছেন বর্তমানে টুইটারের বেশিরভাগ কর্মচারীই বামপন্থী মানসিকতার।