
৬২তেও আবেদনময়ী নীনা গুপ্তা, নিজেই ফাঁস করলেন তাঁর সুন্দর চেহারার রহস্য
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যত বয়স বাড়ছে ততই যেন সুন্দর হচ্ছেন অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা। তাঁর সৌন্দর্যের রহস্য নিয়ে বি-টাউনের অন্দরমহলে ইদানীং চর্চাও হচ্ছে খুব। হবে নাই বা কেন! কমবয়সী মেয়েদের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে যেভাবে নিজেকে ধরে রেখেছেন, তা দেখে হিংসা তো হওয়ারই কথা।
ভারতীয় মেয়েরা যেখানে ৪৫য়েই নিজেদের ‘বুড়ি’ বলে দাগিয়ে দেন, সেখানে অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা ৬১ বছর বয়সে ফ্রক, স্কার্ট, শর্টস পরা ছবি পোস্ট করে চমকে দিচ্ছেন সকলকে। ছবি দেখে কে বলবে এত বয়স তাঁর!
নীনা গুপ্তার মেয়ে মাসাবা গুপ্তা এখন ভারতের প্রথম সারির ফ্যাশন ডিজাইনারদের মধ্যে একজন। মেয়ের ব্র্যান্ডের মডেলও কিন্তু তিনি। নীনা গুপ্তা নিজেই জানিয়েছেন মডেলদের মতো ফিগার ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট শারীরিক কসরৎ করেন তিনি। তাঁর সাম্প্রতিক কালের ছবি দেখলেও সেটা বোঝা যায়। বয়সের কথা মাথায় রেখে জীবনযাপন করতে যে তিনি একেবারেই নারাজ, সেটা তাঁকে দেখলে স্পষ্ট বোঝা যায়।
বি-টাউনের একাংশের সুন্দরীরা যেমন নিয়মিত জিমে গিয়ে এক্সারসাইজ করেন, অন্যদিকে অনেকেই যোগব্যায়ামের দিকে ঝোঁকেন। তাঁরা মনে করেন যোগাসনের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য দুই-ই ভাল থাকে। অভিনেত্রী নীনা গুপ্তাও সে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন তিনি রোজ বাড়িতে যোগাসন করেন। তার মাধ্যমেই তিনি সুস্থ থাকার চেষ্টা করেন।
সম্প্রতি এমন একটি ভিডিও পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে, সেখানে দেখা গেছে তিনি সুপ্ত বজ্রাসন করছেন । নিয়মিত এই যোগাসন করলে অ্যাবডোমেন বা পেটের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আবার পায়ের বাত, হাঁটুর ব্যাথা, গোড়ালির সমস্যা, কাঁধের যন্ত্রণা কিছুটা কমে যায় এর মাধ্যমে।
সুপ্ত বজ্রাসনের পদ্ধতি হল –
প্রথমে বজ্রাসনের ভঙ্গিমায় বসতে হবে। হাঁটু মুড়ে, দুপাশে পা ছড়িয়ে বসে, নিতম্ব মাটিতে ছুঁইয়ে রাখতে হবে। এরপর হাত দুটো মাথার পিছনে রাখতে হবে। শরীরটাকে এমনভাবে রাখবেন যাতে নিতম্ব আর পিঠের মাঝে একটা ফাঁকা জায়গা থাকে। এভাবে শরীর শিথিল করে দিন। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে তিরিশ সেকেন্ড থেকে একমিনিট পর্যন্ত এভাবে থাকবেন। তারপর ধীরে ধীরে আবার আগের পর্যায়ে এসে শরীর ছেড়ে দিয়ে খানিকক্ষণ বিশ্রাম নেবেন।
এই যোগব্যায়ামের উপকারিতা –
১.নিতম্বের অতিরিক্ত মেদ কমে।
২.পিঠ সোজা থাকে।
৩.কাঁধের সমস্যা দূর হয়।
৪. পায়ের, হাঁটুর, গোড়ালির ব্যাথা কমে যায়।
৫. মাথা যন্ত্রণা কমে যায়।
৬. ব্লাডপ্রেসারের রোগীরা সঠিক গাইডলাইন অনুযায়ী নিয়মিত করতে পারলে উপকার পাবেন।
৭.শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায়।
যদিও নীনা গুপ্তাকে দেখে নিজেরাই বাড়িতে এই যোগব্যায়াম করতে শুরু করবেন না। এই যোগাসনের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। কখনও কখনও হাঁটুর যন্ত্রণা বাড়তে পারে, সায়টিকার ব্যথা হতে পারে, পায়ে-পিঠেও ব্যথাও হতে পারে। ফলে সাবধানে এবং নিয়ম মেনে, নির্দিষ্ট সময়ে, ট্রেনারের পরামর্শ নিয়ে তবেই এইজাতীয় যোগব্যয়াম চর্চা করা উচিত।