
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর আজ খুলে গেল রাজ্যের সব চিড়িয়াখানা। ইতিমধ্যেই গত মাসে খুলছে রাজ্যের সমস্ত জাতীয় উদ্যান এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলি। সব জায়গাতেই প্রবেশের ক্ষেত্রে পর্যটকদের মানতে হবে একগুচ্ছ নতুন নিয়ম। তবে নিয়মের বেড়াজাল থাকলেও পুজোর আগে এমন সুখবরে খুশি বঙ্গবাসী। আজ সকাল ৯টা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করা গিয়েছে।
করোনা সতর্কতায় গত ১৭ মার্চ থেকে বনদফতরের অধীনে থাকা সব চিড়িয়াখানা, ন্যাশনাল পার্ক, ইকো টুরিজিয়াম সেন্টারগুলি বন্ধ রাখা হয়েছিল। দীর্ঘ ৬ মাস পর লকডাউন-৫-এ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোভিড গাইডলাইন মেনে সেগুলি খোলা হয়েছে। আজ ২ অক্টোবর শুক্রবার খুলেছে রাজ্যের সমস্ত চিড়িয়াখানা। গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে খোলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জাতীয় উদ্যান, পর্যটন কেন্দ্র, ইকো-ট্যুরিজম পার্ক গুলি।
দীর্ঘদিন মানুষের মুখোমুখি হয়নি খাঁচায় থাকা পশু-পাখিরাও। কেবল যাঁরা দেখভাল করেন গত ৬ মাসে তাঁদেরকেই দেখেছে এরা। তাই আজ অনেকদিন পর লোকজন তারা কেমন আচরণ করে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। প্রথমদিন পুরো ব্যাপারটাই নজরদারি করা হবে সিসিটিভির মাধ্যমে। বিশেষ করে হিংস্র পশুদের খাঁচায় বেশি করে নজর রাখা হবে। পাশাপাশি দর্শকরা সমস্ত বিধি মানছেন কিনা সেদিকেও সিসিটিভির মাধ্যমে অনবরত নজরদারি চলবে।
জানা গিয়েছে, খাঁচার বাইরে গোল দাগ কেটে দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে তার মধ্যেই দাঁড়াতে হবে দর্শকদের। থুতু বা পানের পিক ফেলা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। চিড়িয়াখানায় থাকবে স্যানিটাইজার টানেল। তার ভিতর দিয়েই ঢুকতে হবে দর্শকদের। মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের পাশাপাশি থাকবে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থাও। জানা গিয়েছে, চিড়িয়াখানায় ঢোকার আগেই দর্শকদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। এখন থেকে চিড়িয়াখানায় প্রবেশের জন্য অনলাইনে টিকিট কাটার ব্যবস্থা রয়েছে। লাইন দিয়ে টিকিট কাটার দিন এখন শেষ। এছাড়া চিড়িয়াখানার ভিতরে পানীয় জলের ব্যবস্থা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। দর্শকদের খাওয়ার জল বাড়ি থেকে আনতে হবে। কোনও খাবার সঙ্গে নিয়ে ঢোকা যাবে না।
শোনা গিয়েছে, টানা তিন ঘণ্টার বেশি আপাতত দর্শকদের চিড়িয়াখানায় থাকতে দেওয়া হবে না। বড় খাঁচার সামনে দশ জনের বেশি কাউকে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। তবে ছোট খাঁচার সামনে ৫ জনকে দাঁড়াতে দেওয়া হবে। পশু-পাখিদের দেখার জন্য দর্শকদের সময়ও বেঁধে দেওয়া হবে। পশু-পাখিদের খাঁচা থেকে উপযুক্ত দূরত্ব বজায় রাখতে হবে দর্শকদের। খাঁচার জালে বা তারে কোনও ভাবেই হাত দেওয়া যাবে না।