
রাজস্থানে কালই অনাস্থা প্রস্তাব আনবে বিজেপি, শক্তি পরীক্ষার মুখে গেহলোট সরকার
শুক্রবার বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিনেই অশোক গোহলোট সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনবে বিজেপি। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন রাজস্থান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক গুলাবচাঁদ কাটারিয়া।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল বিজেপি। শুক্রবার বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিনেই অশোক গেহলোট সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনবে বিজেপি। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন রাজস্থান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক গুলাবচাঁদ কাটারিয়া। রাজ্য বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকে এদিন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাটারিয়া।
আরও পড়ুন
৩০ হাজার সেনা মোতায়েন পূর্ব লাদাখে, শীতের আগে বড় পদক্ষেপ নয়াদিল্লির
এদিন বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া-সহ বিজেপি নেতৃত্ব শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া অধিবেশন নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক করেন। রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির পরে এটাই ছিল বিজেপির পরিষদীয় দলের প্রথম বৈঠক। এদিন সেই বৈঠকের পরে কাটারিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার থেকে রাজস্থান বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে। আর তার প্রথম দিনেই আনা হবে অনাস্থা প্রস্তাব। এই বিষয়ে এদিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবারই যে বিজেপি অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে তা আগে থেকেই মনে করা হচ্ছিল। সম্ভবত শুক্রবারই আস্থাভোট নেওয়া হবে রাজস্থান বিধানসভায়। তাতে ভোট দিতে পারবেন বহুজন সমাজ পার্টি থেকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া ছয় বিধায়ক। তাঁরা যাতে ভোট দিতে না পারেন, সেজন্য পিটিশন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। আবেদনকারীরা বলেছিলেন, যেভাবে ছয় বিএসপি বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তা অবৈধ। সুতরাং তাঁদের যেন আস্থাভোটে অংশ না নিতে দেওয়া হয়। শীর্ষ আদালত বৃহস্পতিবার সেই আর্জি নাকচ করে দিয়েছে। ছয় বিধায়ক ভোট দিতে না পারলে আস্থাভোটে গরিষ্ঠতা প্রমাণ করা কঠিন হত গেহলোট সরকারের পক্ষে।
রাজস্থানে কংগ্রেসের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামী ১৮ বিধায়ক বিদ্রোহ করার পরে গেহলোট সরকার সংকটে পড়ে। সোমবার শচীনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তারপরেই শচীনদের বিদ্রোহের অবসান হয়। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, আপাতত গেহলোট সরকারের সামনে তেমন কোনও বিপদ নেই। যদিও রাজস্থানের রাজনীতিতে শচীনের প্রত্যাবর্তন সহজ হবে কিনা সন্দেহ আছে। মুখ্যমন্ত্রীর ‘কাজের পদ্ধতি’-র সমালোচনা করে বিদ্রোহ করেছিলেন শচীন। গেহলোট বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত শচীনের সঙ্গে দেখা করেননি।