
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে টিকাকরণ শুরু হয়ে গেছে। পাকিস্তানে এখনও অবধি টিকাকরণের নামগন্ধ নেই। তাই ‘বন্ধু’ পাকিস্তানকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে চিন। জানা গেছে, চিনা বায়োটেকনোলজি ফার্ম ক্যানসিনো বায়োলজি বিপুল পরিমাণ টিকার ডোজ পাঠাতে পারে পাকিস্তানকে। ইতিমধ্যেই সে দেশের কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। সব ঠিক থাকলে জানুয়ারির শেষ থেকেই পাকিস্তানে টিকাকরণ শুরু করতে পারে ক্যানসিনো বায়োফার্ম।
স্থানীয় কোম্পানি এজেএম ফার্মা লিমিটেডের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে ক্যানসিনোর। সংস্থার টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার হাসান আব্বাস জাহির বলেছেন, পাকিস্তানের ড্রাগ রেগুলেটরের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে ক্যানসিনো বায়োফার্ম। প্রাথমিকভাবে ২ কোটি টিকার ডোজ তারা পাঠাতে পারে পাকিস্তানে। কম দামেই পাকিস্তানকে টিকা দিতে চায় চিন।
এতদিন পাকিস্তানে টিকার ট্রায়াল চালাচ্ছিল ক্যানসিনো বায়োফার্ম। তৃতীয় স্তরের ট্রায়াল প্রায় শেষের দিকে। ক্যানসিনো জানিয়েছে, পাক সরকারের অনুমোদন পেলে জরুরি ভিত্তিতে টিকাকরণ শুরু করা যাবে।
পাকিস্তানে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা শুরু হয়েছে। সংক্রামিত পাঁচ লক্ষের বেশি। ক্যানসিনো জানিয়েছে, পাকিস্তানে এখনও অবধি প্রায় ১৮ হাজার জনের ওপর টিকার ট্রায়াল হয়েছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুব সামান্য।
চিনে জরুরি ভিত্তিতে আগেই ছাড়পত্র পেয়েছে ক্যানসিনো বায়োফার্মের টিকা। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির মতো ভেক্টর ভ্যাকসিন তৈরি করেছে চিনের ক্যানসিনো। সর্দি-কাশির ভাইরাস অ্যাডেনোভাইরাসের নিষ্ক্রিয় স্ট্রেন থেকে ডিএনএ ভেক্টর ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট ডিজাইন করা হয়েছে। এই ভ্যাকসিন ক্যানডিডেটের নাম Ad5-nCoV। ক্যানসিনোর ভাইরোলজিস্টরা জানিয়েছেন, করোনার স্পাইক (S)প্রোটিন নিষ্ক্রিয় করে অ্যাডেনোভাইরাসের স্ট্রেনের সঙ্গে মিলিয়ে ভেক্টর ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। চিনের সেনা হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ চেন ওয়েইয়ের দাবি, Ad5-nCoV ভ্যাকসিন ক্যানডিডেটের তিন স্তরের ট্রায়ালেই ভাল ফল দেখা গেছে। তাঁর দাবি, এই ভ্যাকসিনের প্রভাবে শরীরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ‘অ্যাডভার্স সাইড এফেক্টস’ দেখা যায়নি। পাকিস্তান, রাশিয়া, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো ও চিলিতে টিকার ট্রায়াল করেছে ক্যানসিনো।