
বায়োপিক হলে কে হবেন নায়িকা, বলে দিলেন কাজল নিজেই
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চোদ্দ বছরের মেয়ে একা একা সিঙ্গাপুরে থেকে পড়াশোনা করে। ২ হাজার মাইল দূরে মুম্বইতে বসে সেলিব্রিটি মায়ের চিন্তার অন্ত নেই। আফটারঅল সেলিব্রিটি হলেও তিনি তো একজন মা। তাই আর পাঁচটা মায়ের মতোই সারাক্ষণ ভাবেন মেয়ে কী করছে, কী খাচ্ছে? মেয়ের সঙ্গে ঝগড়াও এখন অনেকটাই কমিয়ে ফেলেছেন তিনি। কাজল। নাইসার আদরের ‘মম’।
সম্প্রতি ইন্সটাগ্রামে নাইসার সঙ্গে বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন কাজল। সেখানে দেখা যাচ্ছে মা-মেয়ের একান্ত মুহূর্তের ছবি। দেখেই বোঝা যায় মায়ের সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে নাইসার। ঠিক যেন মায়ের ডুপ্লিকেট। মায়ের সঙ্গে সম্পর্কটাও সেরকমই। একেবারে বন্ধুর মতো।
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে কাজল বলেন, ‘আমরা জুতো থেকে শুরু করে জামা-কাপড় সবই শেয়ার করি। একে অন্যের সঙ্গে অনেক কিছু নিয়েই আলোচনা করি। তবে আমি তো ওর মা, তাই এখনও অনেক কিছু নিয়েই নাইসাকে বকাঝকা করি। কিন্তু নাইসা সেটাকে খুব একটা পাত্তা দেয় না।’
ইন্ডাস্ট্রিতে কাজল পরিচিত একজন কড়া ধাঁচের মা হিসেবে। মেয়ে নাইসা ও ছেলে যুগকে খুব একটা বেশি ক্যামেরার সামনে আসতে দেন না। যতটা সম্ভব লাইমলাইট থেকে দূরে রাখেন। অজয় দেবগনও ছেলে-মেয়ের সঙ্গে ঘরোয়া সময় কাটাতেই পছন্দ করেন।
কিন্তু সম্প্রতি মেয়ে মা-বাবাকে ছেড়ে দূরে পাড়ি দিয়েছে। অজয় দেবগনের বক্তব্য, ‘নাইসাকে বাইরে পড়াতে পাঠানোর ব্যাপারে আমরা খুব চিন্তায় ছিলাম। অনেক আলোচনার পর ওকে বাইরে পাঠাই আমরা। ভয় লাগত ওইটুকু মেয়ে একা একা বিদেশে মানিয়ে নিতে পারবে কিনা। কিন্তু যেভাবে ও নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে তাতে বাবা-মা হিসেবে আমরা গর্বিত।’
কাজলের বক্তব্য, ‘নাইসা বিদেশ যাওয়ার পর থেকে আমি ওকে খুব মিস করি। আসলে এক ছাদের নীচে থাকলে ঝগড়া বেশি হয়। কিন্তু যখন সে দূরে চলে যায় তখন তার কথা মনে পড়ে বেশি। আজকাল খুব মিস করি নাইসাকে। তবে এখনও যখনই এক জায়গায় আসি তখনই অনেক গল্প করি, মজা করি, ঝগড়া করি।’
মেয়েকে লাইমলাইটে নিয়ে না এলেও কখনও যদি তাঁর বায়োপিক হয়, তাহলে নাইসাকেই তাঁর অল্প বয়সের চরিত্রের জন্য পারফেক্ট মনে করেন কাজল। কাজল বলেছেন, ‘কখনও আমার বায়োপিক হলে আমার অল্প বয়সের চরিত্রের জন্য নাইসাকেই রাজি করাতে হবে।’ তবে কি মায়ের জুতো গলিয়ে মেয়েকেও দেখা যাবে বড় পর্দায়? কাজলের কথায় ‘দিল্লি এখন অনেক দূরে।’