
ফিরহাদ হাকিম
(লেখক রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতা পুরসভার প্রশাসক)
কলকাতায় মারাদোনার কর্মসূচির খবর পেয়েই আমরা যোগাযোগ করেছিলাম যে সংস্থা তাঁকে নিয়ে এসেছিল তাঁদের সঙ্গে। একবার আমাদের ক্লাব চেতলা অগ্রণীতে আনার জন্য।
যেদিন মারাদোনার আসার সূচি হল সেদিনই বারাসতে একটা প্রদর্শনী ম্যাচ ছিল। সেখান থেকে এসেছিলেন ১৯৮৬-র বিশ্বকাপের নায়ক। ক্লান্ত ছিলেন। যখন পৌঁছলেন আমাদের ক্লাবে তখন তাঁকে দেখার জন্য জনপ্লাবন।
গাড়ি থেকে নামতেই পারলেন না মারাদোনা। ভিতরে বসা অবস্থায় কিছু একটা বলছিলেন। কিন্তু আমি মারাদোনার ভাষা বুঝতে পারছিলাম না। উনিও আমার কথা বুঝছিলেন না। কী করা যাবে! সেই সময়ে সিদ্ধান্ত নিলাম, মারাদোনাকে বসা অবস্থায় যদি গাড়িটাকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া যায়!
শেষমেশ তাই করলাম। ভিড় ঠেলে গাড়ি নিয়ে গেলাম মাঠে। ভিতরে বসা মারাদোনা। মাঠে দাঁড়াল গাড়ি। গাড়ি থেকেই মানুষের উদ্দেশে হাত নাড়লেন। নমস্কার করলেন। তারপর গাড়িতে উঠে ফিরে গেলেন হোটেলে।
ওই বিকেলের স্মৃতি আমার কাছে, আমাদের ক্লাবের কাছে চিরকাল জীবন্ত হয়ে থাকবে। আমরা ফুটবল মাঠে মারাদোনার দৃষ্টিনন্দন ফুটবল দেখেছি, একার পায়ে বিশ্বকাপ জেতাতে দেখেছি। কত বড় বড় ডিফেন্ডাররা নাস্তানাবুদ হয়েছেন তাঁর শৈল্পিক টাচে। সেই মারাদোনার মৃতদেহ দেখতে হবে ভাবিনি।