
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লকডাউনে বন্ধ স্কুলের হোস্টেল। কাজেই হোস্টেলের ঘরগুলিকে কাজে লাগিয়েই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। সেখানেই বাঁধল গোল। এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি নিয়েই তুমুল উত্তেজনা শুরু হল গ্রামবাসীদের মধ্যে। চলল গুলি, ব্যাপক বোমাবাজিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পাড়ুই থানার সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের তালিবপুর গ্রাম।
পুলিশ জানিয়েছে, গুলিতে কয়েকজন গ্রামবাসীর জখম হওয়ার খবর মিলেছে। মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। এলাকায় এখনও যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বনশঙ্কা পঞ্চায়েতের তালিবপুর গ্রামের স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের হোস্টেলেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এই বিষয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে প্রশাসনের কর্তাদের বৈঠকও হয়। তবে গ্রামবাসীদেরই একাংশের আপত্তি ছিল এই ব্যাপারে। তাঁদের দাবি ছিল, স্কুলের হোস্টেলে সংক্রামিত রোগীদের রাখা যাবে না। এই নিয়েই বচসার সূত্রপাত।
শনিবার সন্ধেবেলা ফের গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথাবার্তা হয় প্রশাসনিক কর্তাদের। বৈঠক শেষেই শুরু হয় ঝামেলা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দু’দলে ভাগ হযে গ্রামবাসীরা অশান্তি শুরু করে। এরই মাঝে এলোপাথাড়ি গুলি চলতে শুরু করে। বোমাবাজিও শুরু হয়। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় একজনের।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ঝামেলার মধ্যেই বহিরাগতরা ঢুকে পড়ে এলাকায়। দাবি, বোমা-গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরাই। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে তারা চম্পট দেয়।
মৃত ব্যক্তির পরিচয় এখনও নিশ্চিত করেনি পুলিশ। জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেছেন, ” ওই গ্রামে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার ব্যাপারে গ্রামবাসীদের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়। সেটা মেটাতে পুলিশ ও প্রশাসন উদ্যোগ নেয়। পুলিশ চলে যাওয়ার পরে কিছু দুষ্কৃতী বোমা-গুলি নিয়ে তাণ্ডব চালায় গ্রামে।“