
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহারাষ্ট্রের শাসক দল শিবসেনা গত কালই প্রবল প্রতাপে জানিয়েছে, এ বার বাংলায় ভোটে লড়বে তারা।
নতুন কথা নয়। শিবসেনা গত বিধানসভা ভোটেও বাংলায় লড়েছিল। কিন্তু রবিবার শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত রণহুঙ্কার দেওয়ার পর অনেকেরই মনে কৌতূহল তৈরি হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে কত বড় পার্টি রে বাবা শিবসেনা! কী বিপুল তাঁর জনভিত্তি!!
সুতরাং খোঁজা শুরু। দেখা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্র অর্থাৎ যে রাজ্যে কংগ্রেস ও এনসিপি-র সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতায় রয়েছে শিবসেনা, সেখানে উনিশ সালে বিধানসভা ভোটে তারা পেয়েছিল ১৬.৪১ শতাংশ ভোট। যা বিজেপি ও এনসিপির থেকে কম।
শিবসেনা এনডিএ ছেড়ে দিয়েছে। তার পর সম্প্রতি বিহার ভোটেও তারা প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ সব আসনেই জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এতোটাই করুণ অবস্থা যে নোটার ৩৩ ভাগের এক ভাগ ভোট পেয়েছে তারা। নোটায় ভোট পড়েছিল ১.৬৮ শতাংশ। আর বিহারে শিবসেনা এ বার ভোট পায় ০.০৫ শতাংশ।
এখন বাংলায় তাঁদের নির্বাচনী সাফল্যের খতিয়ান দেখা যাক। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ২১ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল শিবসেনা। সেই ভোটে ওই ২১ টি আসনেই জমানত বাঁচাতে পারেনি তারা। গড়ে আসন প্রতি ২৩০০ করে ভোট পেয়েছিল। বাংলার ভোটে মাত্র ০.০৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল উদ্ধব ঠাকরের পার্টি।
অনেকের মতে, সবটাই ভোট কাটাকাটির খেলা। একুশের ভোটে বাংলায় প্রার্থী দিতে চাইছে মিম। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি জোট বাঁধতে চাইছেন। যা দেখে তৃণমূল মনে করছে, তাদের ভোট কাটাই মিমের উদ্দেশ্য। কারও কারও মতে, সেই কারণেই শিবসেনাকে বাংলায় ঢাক ঢোল পিটিয়ে নামাতে চাইছে তৃণমূল। যাতে তারা হিন্দু ভোট কাটতে পারে।
প্রশ্ন উঠতে পারে, বিহারে কত শতাংশ ভোট পেয়েছিল মিম। বিহার ভোটে ২০ টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ৫ টি আসনে জিতেছিল মিম। মোট ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ভোট পেয়েছিল, যা সামগ্রিক ভোটের ১.২৪ শতাংশ। অর্থাৎ শিবসেনার ২৪ গুণ বেশি ভোট পেয়েছিল মিম।