
দলেদ্য ওয়াল ব্যুরো: বিপর্যয় আর পিছু ছাড়ছে না কংগ্রেসের। রাজস্থান আর পাঞ্জাবের পরে এ বার দক্ষিণে তেলঙ্গানা। রাজ্যের ১৮ জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ১২ জনই মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের টিআরএসে যোগ দিলেন। তেলঙ্গানায় টিমটিম করে টিকে থাকে হাতে গোনা কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর কংগ্রেস বিধায়কদের কিনছেন।
কিন্তু এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সদ্য দল ত্যাগ করা কংগ্রেস নেতাদের দাবি, তাঁরা কেসিআরের নেতৃত্বে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। তাঁরা নিজেরাই গিয়ে টিআরএস পার্টিতে ১২ জনকে নিতে অনুরোধ করেন। স্পিকার শ্রীনিবাস রেড্ডি বলেছেন, এ বার থেকে বিধানসভায় টিআরএস বিধায়কদের সঙ্গেই বসবেন সদ্য দল ছেড়ে আসা কংগ্রেস বিধায়কেরা। দলত্যাগ বিরোধী আইন এঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা সম্ভবত যাবে না, কারণ এঁরা সংখ্যায় বেশি।
লোকসভা ভোটে মাত্র ৫২টি আসন পাওয়া কংগ্রেসের মধ্যে অন্তর্কলহ বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে রাজস্থান ও পাঞ্জাবে। তেলঙ্গানার ১৭টি লোকসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছে ৩টি। তবে তার কয়েক মাস আগে তেলঙ্গানার বিধানসভা ভোটে খুবই শোচনীয় ফল হয়েছিল কংগ্রেসের। লোকসভায় টিআরএস ১৭টি-র মধ্যে ৯টি আসন পেয়েছে। কেসিআর-এর মেয়েও বিজেপি প্রার্থীর কাছে নিজ়ামাবাদ থেকে পরাজিত হয়েছেন।
লোকসভা ভোটে রাজস্থানে কংগ্রেসের শোচনীয় ফলাফলের পর রাজ্যের দুই মন্ত্রী রমেশ মিনা ও উদয়লাল অঞ্জনা দাবি করেন, পরাজয়ের জন্য যিনি দায়ী তাঁকে চিহ্নিত করতে হবে। অশোক গহলৌত পরে বলেন, যোধপুরে পরাজয়ের দায়িত্ব শচীনকে নিতে হবে। আবার কংগ্রেস বিধায়ক পৃথ্বীরাজ মিনা দাবি তোলেন, শচীন পাইলটকেই মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে, কারণ অশোক গহলৌত মানুষের উপর সব প্রভাব হারিয়ে ফেলেছেন।
পাঞ্জাবেও মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে বিতর্কিত কংগ্রেসি নেতা ও মন্ত্রী নভজ্যোত সিং সিধুর। বৃহস্পতিবারই সিধুর হাত থেকে আঞ্চলিক প্রশাসন দফতর কেড়ে নিয়েছেন অমরিন্দর। এই সব নিয়ে সেখানেও কংগ্রেস খুব একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় নেই।