
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছিল তেলেঙ্গানার শ্রীশৈলম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। ভিতরে আটকে পড়েছিলেন ৯ জন। তাঁদের মধ্যে ৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকি তিনজনের খোঁজ চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।
গতকাল রাতে এই পাওয়ার প্ল্যান্টের একটি ইউনিটে আচমকাই বিস্ফোরণ হয়। অনুমান শর্ট সার্কিট থেকে বিস্ফোরণ হয়েছিল। নিমেষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাওয়ার প্ল্যান্টের অন্যান্য ইউনিটে। ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। বিস্ফোরণের সময় ভিতরে ছিলেন ১৭ জন ইঞ্জিনিয়ার। তাঁদের মধ্যে ৮ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় সকালেই। তবে নিখোঁজ ছিলেন ৯ জন। তাঁদের মধ্যে এ বার ৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
এখনও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ। ধোঁয়া বেরিয়ে গেল তবেই বোঝা যাবে পাওয়ার প্ল্যান্টের ভিতর কতটা ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান শর্ট সার্কিটের কারণেই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে সবটা খতিয়ে দেখতে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
কৃষ্ণা নদীর উপর রয়েছে তেলেঙ্গানার শ্রীশৈলম বাঁধ। এই কৃষ্ণা নদীই তেলেঙ্গানাকে অন্ধ্রপ্রদেশের থেকে আলাদা করেছে। প্রসঙ্গত শ্রীশৈলম বাঁধের বাঁদিকে অবস্থিত একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে গতকাল গভীর রাতে বিস্ফোরণ হয়। সূত্রের খবর, আগুন লাগার সময় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতর ছিলেন তেলেঙ্গানা স্টেট পাওয়ার জেনারেশন কর্পোরেশনের (তেলেঙ্গানা জেনকো) ইঞ্জিনিয়াররা। রুটিন পর্যবেক্ষণের জন্য এসেছিলেন তাঁরা।
মাটির নীচে থাকা এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মোট ৬টি পাওয়ার জেনারেটর আছে। প্রত্যেকটি পাওয়ার জেনারেটর ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। এই ছয়টি-র মধ্যে চার নম্বর প্যানেলে গতকাল রাতে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে গিয়েছিল। দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা সঙ্গে সঙ্গেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আচমকা কারেন্ট চলে যাওয়ায় তা প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়।
বিস্ফোরণের পর নিমেষে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। দমকল এবং এনডিআরএফের উদ্ধারকারী কর্মীরা জানান ঘন কালো ধোঁয়া এবং লোডশেডিং থাকায় উদ্ধারকাজে প্রবল অসুবিধা হচ্ছে। এই ধোঁয়ার কারণে প্রাথমিক ভাবে পাওয়ার প্ল্যান্টের ভিতর ঢুকতে গিয়ে প্রবল সমস্যায় পড়েছিলেন উদ্ধারকারী কর্মীরা।