
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতে গিয়েছেন ওরা। এখন তাঁরা সম্পূর্ণ সুস্থ। হাসপাতাল থেকেও জানানো হয়েছে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে। প্রিয়জনের সঙ্গে দীর্ঘদিন পরে দেখা হওয়ার আশায় উৎসাহে ফুটছিলেন সকলেই।
কিন্তু কোভিড যুদ্ধে জয়ী এই যোদ্ধাদের ফেরাতে চাইল না তাঁদের পরিবার। হাসপাতাল থেকে বারবার ফোন করেও লাভ হয়নি। অতএব হায়দরাবাদের গান্ধী হাসপাতালে রি-অ্যাডমিশন হয়েছে ৫০ জনেরও বেশি রোগীর। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৯৩ বছরের এক বৃদ্ধা। অপেক্ষায় রয়েছে কবে তাঁর ছেলে এসে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ১০-১৫ দিন ধরে গান্ধী হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে এই রোগীদের। এখন তাঁরা সম্পূর্ণ ভাবে কোভিড-১৯ ভাইরাস মুক্ত। কোনও উপসর্গও নেই। কিন্তু তাও তাঁদের ফিরিয়ে নিতে চাইছে না বাড়ির লোক। বেশ কিছু হাসপাতালের গেটেই অপেক্ষা করছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কিন্তু বাড়ির লোকের দেখা পাওয়া যায়নি। কোথাও যাওয়ারও নেই তাঁদের। অগত্যা হাসপাতালেই তাঁদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে।
চিকিৎসকদের একাংশের অনুমান, এইসব রোগীর বাড়ির লোকেদের ধারণা হয়েছে তাঁদের পরিবারের সদস্য যেহেতু একবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাই তিনি সুস্থ হয়ে উঠলেও আশঙ্কা থাকছে। হয়তো সুস্থ মানুষের থেকেও নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানোর ভয়ে এ হেন আচরণ করেছেন পরিবারের লোকেরা, এমনটাই জানিয়েছেন কিছু চিকিৎসক। তবে এসব কিছু হওয়ার যে কোনও সম্ভাবনা নেই সে ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা।
হায়দরাবাদের গান্ধী হাসপাতালের নোডাল অফিসার ডক্টর প্রভাকর রাও জানিয়েছেন, কিছু ক্ষেত্রে রোগীর পরিজনরা তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছেন। তবে বদলে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট দেখতে চেয়েছেন তাঁরা। বাকিদের অবস্থা আরও সঙ্গীন। বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি। এমনটাই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অগত্যা কোনও উপায় না পেয়ে সুস্থদের হাসপাতালেই রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বয়স্কদের রাখা হয়েছে গান্ধী হাসপাতালেই। কারণ তাঁদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়া সমস্যার। বাকিদের নেচার কিওর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই হাসপাতালকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানানো হয়েছিল। গান্ধী হাসপাতালে রোগীর চাপ থাকায় সবাইকে সেখানে রাখা সম্ভব হয়নি।