
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আজকের মতো জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব শেষ। আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার জেরার জন্য রিয়াকে ফের তলব করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। প্রথমদিন সাত ঘণ্টারও বেশি সময়ে ধরে জেরা করা হয়েছে রিয়াকে। আজ সাতসকালেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে রিয়ার বাড়িতে সমন পাঠিয়েছিল এনসিবি। এরপর বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ নারকোটিক্স ব্যুরোর দফতরে হাজির হন রিয়া।
প্রসঙ্গত, গত দু’দিন ধরে এনসিবি যাঁদেরকেই জেরা করেছে, সন্ধের পর দেখা গিয়েছে তাঁদেরকেই গ্রেফতার করেছে নারকোটিক্স ব্যুরো। তাই রিয়ার ক্ষেত্রেও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। এমনকি রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডেও জানিয়েছিলেন যে গ্রেফতার হওয়ার জন্য তাঁর মক্কেল প্রস্তুত। তবে এ যাত্রায় প্রথমদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেনি নারকোটিক্স ব্যুরো। বরং সোমবার দ্বিতীয়বার জেরার জন্য তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
গত শুক্রবার রিয়ার ভাই শৌভিককে গ্রেফতার করেছে নারকোটিক্স ব্যুরো। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে এনসিবির হেফাজতে থাকতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ছেলে গ্রেফতার হওয়ার পর রিয়া-শৌভিকের বাবা ইন্দ্রজিৎ বলেছেন, “অভিনন্দন ভারতবর্ষ। আমার ছেলেকে গ্রেফতার হয়েছে। আমি নিশ্চিত তালিকায় এরপরেই রয়েছে আমার মেয়ে রিয়া। জানি না তারপরে কে রয়েছেন। একটি মধ্যবিত্ত পরিবারকে একদম ভেঙে-গুঁড়িয়ে দিয়েছ তোমরা। তবে ন্যায়বিচারের জন্য সবকিছুই যুক্তিযুক্ত। জয় হিন্দ।“
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ভোরবেলায় রিয়া-শৌভিকের বাড়িতে পৌঁছয় নারকোটিক্স ব্যুরোর একটি সার্চ টিম। তল্লাশি অভিযান চালানোর পর শৌভিকের ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়। এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে সঙ্গে নিয়েই এনসিবি দফতরে জান তদন্তকারী আধিকারিকরা। দিনভর জেরার পর শুক্রবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন শনিবার আদালতে পেশ করা হয়।
শুক্রবার শৌভিকের সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্দ্রার ফ্ল্যাটের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকেও। নারকোটিক্স ব্যুরো অভিযোগ ড্রাগ পেডলার জাইদ ভিলাত্রার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই দু’জনের। জাইদের সঙ্গে শৌভিক এবং স্যামুয়েলের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল আর এক ড্রাগ ডিলার আবদুল বসিত পরিহার। জাইদ এবং আবদুল দু’জনেই এখন এনসিবির হেফাজতে রয়েছে। এছাড়াও গতকাল অর্থাৎ শনিবার সন্ধ্যায় সুশান্তের রাঁধুনি দীপেশ সাওয়ান্তকেও গ্রেফতার করেছে নারকোটিক্স ব্যুরো। দীপেশকেও আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পর্জন্ত এনসিবির হেফাজতে থাকতে হবে।