
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগুন জ্বলছে ওয়াশিংটন ডিসিতে। হিংসা ছড়াচ্ছেন ট্রাম্প সমর্থকরা। তাতে প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত রয়েছে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের। ট্রাম্পের একাধিক টুইট থেকেই তা স্পষ্ট। প্ররোচনামূলক টুইট বন্ধ করার জন্য এবার আসরে নামল টুইটার। ১২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট। এমন বিভ্রান্তিকর, ইন্ধন জোগানো বার্তা দেওয়া বন্ধ না করলে, পাকাপাকিভাবে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে টুইটার।
টুইটারের তরফে জানানো হয়েছে, @রিয়েলডোনাল্ডট্রাম্প নামক অ্যাকাউন্ট থেকে পরপর তিনটি টুইট করেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। ওই তিনটি টুইটই ছিল উস্কানিমূলক। টুইটারের সিভিক ইন্টিগ্রিটি পলিসি ভেঙেছেন ট্রাম্প। প্ররোচনায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে তাই সাময়িকভাবে তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এমন ধরনের টুইট করলে পাকাপাকিভাবে ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় থেকেই একের পর এক বিভ্রান্তিকর টুইট করে চলেছেন ট্রাম্প। কখনও ভোট দুর্নীতির অভিযোগ চাপিয়েছেন ডেমোক্র্যাটদের ওপরে, তো কখনও বলেছেন ব্যালটে দেদাড় কারচুপি চলছে। সে সময়ও টুইটার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়িয়ে টুইটারের নিয়মনীতি লঙ্ঘন করছেন ট্রাম্প। ভোটের সময় শুধু নয়, করোনা সংক্রমণ নিয়েও আগে একাধিক বিভ্রান্তিকর টুইট করার জন্যও ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
গত কয়েকদিনে ট্রাম্পের টুইট হিংসায় ইন্ধন দিয়েছে বলেই দাবি টুইটারের। নজিরবিহীন সংঘর্ষ হচ্ছে ওয়াশিংটন ডিসিতে। ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালিয়েছে ট্রাম্প সমর্থকরা। গুলি চলেছে। একজনের মৃত্যুও হয়েছে। এক মহিলার কাঁধে গুলি লেগে তিনি গুরুতর জখম। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে বিক্ষোভকারীদের। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের টুইট হিংসা আরও বাড়িয়ে তুলবে বলেই দাবি টুইটারের।