
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এখনও দাউ দাউ করে জ্বলছে বাগবাজারের হাজার হাত বস্তির আগুন। উত্তুরে হাওয়ায় ক্রমেই সেই আগুন আরও ছড়িয়ে পড়েছে। সেই আগুন থেকে রেহাই পায়নি বাগবাজারে মা সারদার বাড়িও। সেই বাড়ির একাংশেও ছড়িয়ে পড়েছে সেই আগুন। এই আগুনের কবলে পড়ে ইতিমধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে শতাধিক ঝুপড়ি। তার ফলে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন কয়েকশ মানুষ।
বাগবাজারের হাজার হাত বস্তির পশ্চিম দিকে রয়েছে মায়ের বাড়ি। বুধবার সন্ধেবেলা আগুন লাগার পরে তা ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। জানা গিয়েছে, মায়ের বাড়ির পিছনের অংশে উদ্বোধনী কার্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। বইয়ের গুদামেও তা ছড়িয়ে পড়েছে। এই আগুনের গ্রাসে পড়ে লাইব্রেরি ও অনেকগুলি কম্পিউটার পুড়ে গিয়েছে বলে খবর। মায়ের বাড়িতে আগুন ছড়ানোর পরে স্থানীয় বাসিন্দা ও দমকল কর্মীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন মহারাজরাও।
এদিন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বাগবাজার ব্রিজের কাছে হাজার হাত বস্তিতে আগুন লাগে। কাছেই বাগবাজার উওমেন্স কলেজ। আগুন লাগার পরেই তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। উত্তুরে হাওয়া থাকায় দ্রুত ছড়ায় আগুন। মুহূর্তের মধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি পুড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, অনেক দেরিতে দমকল এসে পৌঁছেছে। তার ফলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়েছে। পরে দমকলের আরও ২০টি ইঞ্জিন পৌঁছয় সেখানে।
এই এলাকা শ্যামপুকুর থানার মধ্যে পড়ে। তাই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে খবর। বস্তির ভিতরে একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার ফাটায় ও অনেক দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পরে আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে খবর।
দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, কী কারণে এই আগুন লেগেছে তা স্পষ্ট নয়। তবে আগুন লাগায় লক গেট ব্রিজ ও আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গিরিশ পার্ক থেকে সেন্ট্রাল এভিনিউ পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার ফলে বিশাল যানজট গোটা উত্তর কলকাতা জুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামাতে হয়েছে র্যাফ।