দ্য ওয়াল ব্যুরো: পরের বছরেই সেঞ্চুরি। কে করবেন জানেন? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর এক বছর অপেক্ষা করলেই সেঞ্চুরি করে ফেলবেন মমতা। লেখিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা বইমেলার উদ্বোধনে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই মঞ্চে দাঁড়িয়েই তিনি জানান, ৮০টা বই ইতিমধ্যেই লেখা হয়ে গিয়েছে তাঁর। এই বছর বইমেলায় মুক্তি পাবে তাঁর ৭টি বই। মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৭। পরের বছরের মধ্যেই বাকি ১৩টা বই লিখে সেঞ্চুরি করবেন তিনি। তাঁর আশ্বাস, “পরের বছরের মধ্যেই চটপট ১৩টা লিখে ফেলবো।“
প্রতি বছরের মতো এ বছর বইমেলার উদ্বোধনে এসেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কলকাতা বইমেলাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বইমেলা বলা হলেও কিছু বেশি বলা হবে না। তাঁর কথায় জলের আর এক নাম যেমন জীবন, তেমনই বইয়েরও আর এক নাম জীবন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কম্পিউটারে মনের ভাব সে ভাবে ঠিক প্রকাশ করা যায় না। বই লাগেই।“
আরও পড়ুন : মাইনে নিই না, গানের সুর দিয়ে আর বইয়ের রয়্যালটি দিয়েই আমার চলে যায়: মমতা
এরপরেই তিনি চলে আসেন নিজের লেখা বইয়ের কথায়। হেসে জানান, এই প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেই কীভাবে তিনি বই লিখে চলেন। কখনও কখনও খুব ‘ক্যাজুয়ালি’ লিখে ফেলেন তিনি। কখনও কখনও বইয়ের ভূমিকা তিনি ফোনেই ডিক্টেশন দিয়ে দেন। কটা বই এ পর্যন্ত লেখা হলো তার হিসেবও রাখা হয় না।
এ টুকু বলেই তাঁর পাশে বসে থাকা প্রকাশক ও বইমেলার আয়োজকদের দিকে তাকান মুখ্যমন্ত্রী। জিজ্ঞাসা করেন, “আগের ৭৫ টা বই আর এ বারের সাতটা, সব মিলিয়ে ৮২ টা বই হলো। তাই তো?” জবাবে এক প্রকাশক উত্তর দেন, না না আশিটা বই ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর সাতটা প্রকাশ হচ্ছে। অর্থাৎ মোট ৮৭ টা বই হল। এ কথা শুনেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ও ৮৭ খানা হয়ে গিয়েছে। তা হলে তো আর বেশি বাকি নেই। পরের বারের মধ্যেই চটপট ১৩টা করে দেবো।“ মমতা আরও জানান, একটা উর্দু শায়েরির বই লিখেছেন তিনি। ছোটদের জন্যও বই লিখেছেন। ‘নামাঞ্জলী’ নামে একটি বই প্রকাশ হয়েছে। তা বিভিন্ন উদ্ধৃতি নিয়ে তাঁর বই প্রকাশিত হয়েছে, নাম আলোকবর্তিকা।
এ বার আরও লিখবেন তিনি। অর্থাৎ নিবন্ধ-ছড়া-কবিতার লেখিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেঞ্চুরি এখন শুধু কয়েক মাসের অপেক্ষা!
মাইনে নিই না, গানের সুর দিয়ে আর বইয়ের রয়্যালটি দিয়েই আমার চলে যায়: মমতা