
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। ছটফট করছিল বছর নয়েকের বাচ্চাটা। ওই অবস্থাতেই হাসপাতালের দোরে দোরে ঘুরছিলেন বাবা, মা। ঠাঁই মেলেনি কোথাও। ফিরিয়ে দেয় শহরের চার হাসপাতাল। শেষে এসএসকেএমে ভর্তি করালেও প্রাণ বাঁচানো যায়নি। অস্ত্রোপচারের আগেই মৃত্যু হয় শিশুটির।
বিনা চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ আগেও উঠেছে শহরে। ফের একবার এমন এমানবিক ঘটনা ঘটল কলকাতার বুকেই। শিশুটির নাম তানভীর হোসেন। বয়স ৯ বছর। পরিবারের অভিযোগ, বুকে-পেটে যন্ত্রণা হচ্ছিল বাচ্চাটার। হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য নিয়ে যান বাবা, মা। কিন্তু চিকিৎসা না করিয়েই ফিরিয়ে দেয় হাসপাতাল।
ভাগীরথী নেওটিয়া হাসপাতালে প্রথম নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তানভীরকে। সে সময় তার অবস্থা ছিল সঙ্কটজনক। শিশুটির পরিবার জানিয়েছে, যন্ত্রণায় ছটফট করছিল ছোট্ট তানভীর। কান্নাকাটি করছিল। এমন অবস্থায় বাচ্চাটিকে দেখেও ভর্তি নিতে রাজি হয়নি নেওটিয়া হাসপাতাল। অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নাকি জানিয়ে দেন, ভর্তি নেওয়ার মতো বেড নেই। চিকিৎসকও নেই হাসপাতালে।
নেওটিয়া থেকে তানভীরকে নিয়ে যাওয়া হয় বেলউিউ ক্লিনিকে। সেখানেও ঠাঁই মেলেনি। এরপর সিএমআরআই হাসপাতাল ও পার্ক ক্লিনিকে বাচ্চাটাকে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন তার অবস্থা আরও খারাপের দিকে। অভিযোগ, সিএমআরআই ও পার্ক ক্লিনিকও বেড নেই বলে ফিরিয়ে দেয় তাদের।
দীর্ঘ পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা হাসপাতালের দোরে দোরে ঘুরে শেষে এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয় তানভীরকে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। অস্ত্রোপচার শুরু হওয়ার আগেই মৃত্যু হয়।
শহরের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটতে ছুটতেই তানভীরের অবস্থা আরও খারাপের দিকে যায়, এমনটাই জানিয়েছেন তার মা। অভিযোগ, এভাবে সময় নষ্ট না হলে হয়তো তাকে বাঁচানো সম্ভব হত। শিশুটির বাবা বলেছেন, কোনও হাসপাতাল বলছে বেড নেই, কেউ বলছে ডাক্তার নেই। ভর্তি নিতেই চায়নি কেউ। শেষে এসএসকেএমে জায়গা পেলেও বাঁচানো যায়নি ছেলেটাকে।
ঘটনার বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি কোনও হাসপাতালই।