
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু রাখেননি। এই অভিযোগ তুলেই মঙ্গলবার দুপুরে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন চাকরি প্রার্থীরা। রাস্তায় শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন তাঁরা। এই ঘটনায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে রাস্তায়।
এদিন দেখা যায় কালীঘাটে জড় হয়েছেন এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা। তাঁরা প্রথমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান তুলে চাকরির দাবি করতে থাকেন তাঁরা। এই বিক্ষোভের খবর আগে থেকেই ছিল পুলিশের কাছে। তাই অনেক আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার রাস্তায় ব্যারিকেড গড়া হয়েছিল।
হঠাৎ করেই সবাইকে চমকে দিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তারপরে রাস্তায় শুয়ে পড়তে দেখা যায় তাঁদের। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন কয়েকশ পরীক্ষার্থী। তাঁদের দাবি, মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি হচ্ছে না তাঁদের। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তাঁদের চাকরি হবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। তাই ফের আন্দোলন শুরু করেছেন তাঁরা।
রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদ শুরু হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে বিক্ষোভ আরও বাড়তে থাকে। ফলে সেখানে ডাকা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। প্রথমে আন্দোলন তুলে নিতে বলে পুলিশ। কিন্তু চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যান। ফলে তাঁদের আটক করে পুলিশ। গাড়িতে তুলে সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়।
সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে এসএসসির লিখিত পরীক্ষায় পাস করেও, কয়েক বছর ধরে ওয়েটিং লিস্টে থাকতে হচ্ছে কয়েকশে প্রার্থীকে। অথচ ওই শিক্ষকদের জন্য অসংখ্য শূন্য পদ রয়েছে একাধিক স্কুলে। তাঁদের চাকরি দিতে হবে, এই দাবিতে ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অনশনে বসেন কয়েকশ তরুণ-তরুণী। ছোট ছোট সন্তান কোলে নিয়ে মায়েরাও অনশন শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি চলছে। তাঁরা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও চাকরি পাচ্ছেন না।
দীর্ঘ ২৯ দিন ধরে অনশন চলার পরে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে আন্দোলন প্রত্যাহার করেন তাঁরা। যদিও আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেন, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস শুনে জুন মাস অবধি অপেক্ষা করবেন তাঁরা। জুনে প্রত্যাশিত দাবি পূরণ না হলে, ফের একই পথ নেবে আন্দোলন। দিন দিন সেই আন্দোলন বাড়ছে। এবার তা পৌঁছে গেল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছেও।