
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের একবার ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠল শহরে। এবার অভিযোগের কেন্দ্রে বিসি রায় হাসপাতাল। শিশুর পরিবারের অভিযোগ, সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও তার শারীরিক সমস্যার কোনও উন্নতি হয়নি। অন্য কোনও হাসপাতালে তাকে ভর্তি করার কথাও বলেননি চিকিৎসকরা। অবশেষে ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারপরেই ফুলবাগান থানায় দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে শিশুর পরিবার।
শিশুর পরিবার সূত্রে খবর, তার পেটের মধ্যে নাড়িভুড়ি জড়িয়ে গিয়েছিল। আর তাই সে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। দেড় বছরের মেয়েকে সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি করা হয় বিসি রায় হাসপাতালে। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। তারা মেয়েকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও রাজি হননি চিকিৎসকরা, এমনটাই অভিযোগ তাঁদের। অবশেষে শনিবার মারা যায় দেড় বছরের মেয়েটি।
শিশুটির মা স্বপ্না সিংয়ের অভিযোগ, মেয়ের পেটে নাড়িভুড়ি জড়িয়ে যাওয়ার পরে গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাকে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি করি। মেয়েকে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়, কিন্তু সেকথা পরিবারকে জানানো হয়নি। এমনকি তাকে প্রায় ২৫ বোতল রক্তও দেওয়া হয়। তাঁদের কোনও কথা শোনেননি হাসপাতালের চিকিৎসকরা, এমনটাই অভিযোগ করেছেন স্বপ্না।
পরিবারের প্রধান অভিযোগ হাসপাতালের দুই চিকিৎসক দেবাশিস দেবনাথ ও সুজয় পালের বিরুদ্ধে। মেয়ের শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অন্য কোনও হাসপাতালে ভর্তির কথা বললে তাঁরাই নাকি জানিয়েছিলেন কোথাও নিয়ে যাওয়ার দরকার নেই। সেখানেই শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু শনিবার মারা যায় শিশুটি।

এই ঘটনার পরেই দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ফুলবাগান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বপ্না। তাঁর অভিযোগ, পরিবারকে না জানিয়েই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা থেকে শুরু করে রক্ত দেওয়া, সব ক্ষেত্রেই অন্ধকারে রাখা হয়েছে তাঁদের। এই ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসকদের কড়া শাস্তির দাবি করেছে মেয়েটির পরিবার।
অন্যদিকে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিসি রায় হাসপাতালের দুই চিকিৎসক। তাঁদের দাবি, শিশুটিকে বাঁচানোর সব চেষ্টা করেছেন তাঁরা। কিন্তু তারপরেও তাকে বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। কিন্তু এতে তাঁদের কোনও গাফিলতি নেই বলেই দাবি করেছেন তাঁরা।