
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অন্ধ্রপ্রদেশে বাস ও ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি ধাক্কায় অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা চার। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। রবিবার ভোরে অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, কুর্নুলের ভেলদুর্তি মণ্ডলের মাদারপুর গ্রামের কাছে ঘটে এই দুর্ঘটনা। প্রথমে স্থানীয়রা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তারা এসে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও দুর্ঘটনার কারণ জানা না গেলেও মনে করা হচ্ছে ভোরে কুয়াশার জন্য হয়তো নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি বাস ও ট্রাকের চালক। অবশ্য চালকরা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন কিনা, বা টায়ার ফেটে এই দুর্ঘটনা কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কুর্নুলের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, “দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে ১৮ জন ছিল। কুর্নুল থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ভেলদুর্তি মণ্ডলের মাদারপুর গ্রামের কাছে ভোর ৪টে নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। রাজস্থানের আজমের থেকে চিত্তুরের মদনপল্লিতে যাচ্ছিল বাসটি। দুর্ঘটনায় যাত্রীদের দেহ বাসের মধ্যে এমনভাবে ঢুকে গিয়েছিল যে কাটার দিয়ে কেটে সেগুলি বের করতে হয়। যে চারজন বেঁচে গিয়েছে তারা সবাই শিশু। আধার কার্ড ও ফোন নম্বর দেখে মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।”
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে খাদে পড়ে যায় একটি ট্যুরিস্ট বাস। দুর্ঘটনার পরে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের অফিস থেকে বলা হয়, বাসটিকে ১৮ জন ছিলেন। ঘটনাস্থলেই চারজনে মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা গিয়েছে, পর্যটক বোঝাই বাসটি হায়দরাবাদ থেকে আরাকু ভ্যালির দিকে যাচ্ছিল। সম্ভবত ব্রেক ফেল হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারান চালক। তাতেই ২০০ ফুট গভীর ওই খাদে পড়ে যায় সেটি।