
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দৈনিক বৃদ্ধি ক্রমান্বয়ে কমছিলই দেশে। আজ প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে ভাল খবর শোনাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। গত সাত মাসের রেকর্ড ভেঙে এই প্রথম দৈনিক সংক্রমণ ৯ হাজারের কোঠায় পৌঁছেছে। এতদিন নতুন সংক্রমণ ১৭ থেকে ২০ হাজারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছিল। গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবে দেখা গেল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ১০২ জনে।
করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও কমেছে দেশে। দিনকয়েক আগেই দেখা গিয়েছিল ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আড়াই লাখের নীচে নেমে গিয়েছিল। আজকের বুলেটিনে দেখা গেছে, করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা আরও কমে ১ লাখ ৭৭ হাজারে পৌঁছেছে। অ্যাকটিভ কেসের হারও দুই শতাংশের নীচে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ শতাংশের নীচে নেমে গেলে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি আরও কমবে।
আজকের বুলেটিনে আরও একটা ইতিবাচক দিক হল, সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে দেশে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১১৭ জনের। মৃত্যুহার কমতে কমতে ১.৪৪ শতাংশে পৌঁছেছে। দেশে সুস্থতার হারও বেড়েছে। এক কোটির বেশি করোনা রোগী সংক্রমণ সারিয়ে উঠেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলছে, দিল্লিতে ইতিমধ্যেই হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হতে শুরু করেছে। রাজধানীতে বেশিরভাগের শরীরেই করোনার অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে। ধীরে ধীরে একটা বড় অংশের মধ্যেই প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে।
এফেক্টিভ রিপ্রোডাকশন নম্বর তথা আর-নম্বর গত তিন সপ্তাহ ধরে ০.৯০ থেকে ০.৯২ পয়েন্টের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। দেশে এখন আর-নম্বর ০.৯০। আর-নম্বর কমে যাওয়া মানে সংক্রমণের হার কমে যাওয়া। তাই আশায় বুক বেঁধেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
সাড়ে সাত লাখের বেশি করোনা পরীক্ষা হয়েছে দেশে। এ যাবৎ ২০ লক্ষ ২৩ হাজার ৮০৯ জনের টিকাকরণ হয়েছে। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। অন্যদিকে, মোডার্নার ভ্যাকসিন দেশে আনার তোড়জোড় করছে টাটা গোষ্ঠী। জানা গিয়েছে, মোডার্নার সঙ্গে কথাবার্তা শুরু হয়েছে টাটার হেলথকেয়ার গ্রুপের। আগে টিকার ডোজের ট্রায়াল করবে সিএসআইআর, সব ঠিক থাকলে কেন্দ্রীয় ড্রাগ নিয়ামক সংস্থার অনুমোদনে সার্বিক হারে মোডার্নার টিকা দেওয়া হবে।