
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিল্লিতে সংঘর্ষের পরেই জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকের পরেই দিল্লিতে মোতায়েন করা হয়েছে আধাসেনা। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায় তার জন্যই এই ব্যবস্থা। এদিকে বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে লালকেল্লা থেকে কৃষকদের বের করেছে পুলিশ। অন্যদিকে মিছিলে সংঘর্ষের পরে ট্র্যাক্টর আন্দোলন স্থগিত করল কৃষক সংগঠনগুলি।
এদিন অমিত শাহের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা ও দিল্লির পুলিশ কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তব। অমিত শাহকে দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় কৃষক ও পুলিশের যে সংঘর্ষ হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। তারপরেই আধাসেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বৈঠকের পরে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “গতকালই ১৫ কোম্পানি আধাসেনা দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ১০ কোম্পানি সিআরপিএফ। আজ আরও পাঁচ কোম্পানি আধাসেনাকে মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে তাদের ব্যবহার করা হবে।” দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যারা মিছিল চলাকালীন হিংসার চেষ্টা করেছে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে।
এদিন মিছিল করতে করতে লালকেল্লায় ঢুকে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। তারা সেখানে কৃষক সংগঠনের পতাকা তোলে। লালকেল্লার ভিতরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেখানেও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। যদিও বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে লালকেল্লা থেকে বিক্ষোভকারীদের বের করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
মিছিলে হিংসার ঘটনার পরে ট্র্যাক্টর র্যালি স্থগিত করেছে কৃষক সংগঠনগুলি। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “আজ কৃষকদের প্রজাতন্ত্র দিবসের মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য কৃষকদের অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। সেইসঙ্গে আজকের মিছিলে যে অবাঞ্ছিত ও অগ্রহণযোগ্য ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দা করছি আমরা। সেইসঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল তাদের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক ছিন্ন করছি আমরা।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “আমাদের অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও কিছু সংগঠন যাত্রাপথ ভেঙে অন্য রাস্তায় গিয়েছে। এই ঘটনা নিন্দাজনক। সমাজ বিরোধীরা মিছিলে ঢুকে পড়েছিল। নইলে এই আন্দোলন শান্তিপূর্ন হত। আমাদের সবথেকে বড় শক্তি হল শান্তি। তাই এই শান্তি বিঘ্নিত হলে আমাদের আন্দোলনই বিঘ্নিত হবে।”
এখানেই থেমে থাকেনি কৃষক সংগঠন। তাদের তরফে বলা হয়েছে, “যারা শৃঙ্খলা বেঙ্গে এইসব কাজ করেছে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছি আমরা। আমরা সবার কাছে আবেদন জানাচ্ছি নির্দিষ্ট শৃঙ্খলা মেনে চলতে। দেশের ঐক্য ও সম্মান নষ্ট হয় এই ধরনের কোনও কাজে যুক্ত না হতে। আমরা সবাইকে শান্ত থাকার আবেদন করছি। কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া আমাদের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ মিছিল হয়েছে।”