
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মধ্যপ্রদেশের পরে এবার হরিয়ানা সরকারও লাভ জিহাদ আটকাতে কড়া আইন নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এই আইন পাশ হবে এমনটাই জানিয়েছেন সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ। এই বিষয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন এবং শিগগির মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অনিল ভিজের এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগেই মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনায় অভিযুক্তরা যাতে কড়া শাস্তি পায় তার জন্য আইন নিয়ে আসা হচ্ছে। একই কথা শোনা গিয়েছে কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ ও অসম সরকারের মুখেও।
সংবাদমাধ্যমের সামনে অনিল ভিজ জানিয়েছেন, “এই আইন পাশ হয়ে গেলে ভালবাসার নামে কাউকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা, কোনও ধরনের ষড়যন্ত্রের কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই হিমাচল প্রদেশ সরকারের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। তারা গত বছর এই আইন পাশ করেছিল।
কেন এই আইন দরকার সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অনিল ভিজ। এই প্রসঙ্গে ২৬ অক্টোবর হরিয়ানার ফরিদাবাদে ২১ বছরের এক তরুণীকে গুলি করে খুন করার প্রসঙ্গ এনেছেন তিনি। গুলি করার আগে ওই তরুণীকে গাড়িতে জোর করে তোলার চেষ্টা করা হয়। তাতে রাজি না হওয়ায় এই কাণ্ড করে অভিযুক্ত।

লাভ জিহাদ অবশ্য কেন্দ্রের বা সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদিত কোনও শব্দ নয়। জোর করে ধর্মান্তরিত করাকেই এই নামে ডাকা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সংসদে জানায়, আইনে লাভ জিহাদের কোনও উল্লেখ নেই। আর এই ধরনের কোনও মামলাও কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের তরফে করা হয়নি। যদিও তারপরও একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে আইন পাশ করার প্রক্রিয়া চলছে।
১ নভেম্বর হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারও লাভ জিহাদ কীভাবে আটকানো যায় সেই পদ্ধতিই খুঁজছে। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা বলেন, তাঁর সরকার কড়া ব্যবস্থা নেবে। সেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাভ জিহাদকে সামাজিক দৈত্যের সঙ্গে তুলনা করেন। গত মাসে অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, আগামী বছর নির্বাচনের আগে লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে প্রচার করবে তাঁর দল। লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও।