
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দেশের টেলিকম পরিষেবায় বড়সড় বদল আনার পরিকল্পনা ভারতী এয়ারটেলের। দেশ জুড়ে ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করতে এ বার বহুজাতিক প্রযুক্তি সংস্থা কোয়ালকম-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে এয়ারটেল।
গ্রাহক সংখ্যার বিচারে দেশের তিন টেলিকম জায়ান্টের মধ্যেই রয়েছে ভারতী এয়ারটেলের নাম। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কোয়ালকমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশজুড়ে ওয়্যারলেস ৫টি পরিষেবা চালু করবে খুব তাড়াতাড়ি। দেশে এখনও অবধি ৫জি নেটওয়ার্ক চালু হয়নি। তার জন্য উন্নতমানের পরিকাঠামো দরকার। এয়ারটেলের লক্ষ্য, দেশীয় প্রযুক্তিতে ৫জি পরিষেবার জন্য উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলা। ৫জি পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছে রিল্যায়ান্স জিও। ৪জি পরিষেবা চালু করে দেশের টেলিকম ব্যবসার অভিমুখ বদলে দিয়েছিল মুকেশ আম্বানির সংস্থা। ফের সেই ছবি দেখা যেতে পারে ৫জি পরিষেবার ক্ষেত্রেও। তাই টক্কর হতে পারে সমানে সমানে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তড়িঘড়ি ৫জি পরিষেবার পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে প্রাথমিক প্রস্তুতির কাজটা সেরে রাখতে চাইছে এয়ারটেল, যাতে প্রতিযোগীদের থেকে অনেকটা এগিয়ে থাকা যায়।
কোয়ালকম ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট রাজেন ভাগাড়িয়া বলেছেন, অর্থনৈতিক, সামাজিক সবক্ষেত্রেই দেশের প্রযুক্তি ও পরিকাঠামো উন্নয়নে ৫জি নেটওয়ার্ক পরিষেবা বিশেষ ভূমিকা নিতে চলেছে। সে জন্যই দেশের এক নম্বর অপারেটর সংস্থা এয়ারটেলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
‘জি’ মানে জেনারেশন। ৫জি হল পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক পরিষেবা। ১জি, ২জি দিয়ে যে ডিজিটাল নেটওয়ার্কের সূচনা হয়েছিল তার আধুনিকীকরণ হয়ে ৩জি পেরিয়ে ৪জি-র জমানায় রয়েছে মানব সভ্যতা। এর আগামী সংস্করণ হল ৫জি। যদিও পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক চলে এসেছে বিশ্বের অনেক দেশেই। চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াতে এখনই ৫জি প্রযুক্তি রয়েছে। ডিজিটাল নেটওয়ার্কের এই দৌড়ে সামিল হতে চলেছে ভারতও। ৫জি হল পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক। ৪জি নেটওয়ার্কের থেকে ১০০ গুণ বেশি উন্নত ও দ্রুত গতির। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ৫জি প্রযুক্তি বহু যোজন পিছনে ফেলবে ৪জি-কেও। ইন্টারনেটের স্পিড হবে দুরন্ত। এক সেকেন্ডে ১ জিবি ‘ডেটা’ পাঠানো যায় ৪জি-তে। ৫জি-তে যাবে তার দশ গুণ বেশি। কয়েক সেকেন্ডে নামানো যাবে এইচডি কোয়ালিটির সিনেমা। ওয়ারলেস নেটওয়ার্কে একসঙ্গে বহু ডিভাইসকে যুক্ত করা যাবে। অনেক বেশি পরিমাণ ফাইল ট্রান্সফার করা যাবে নিমেষের মধ্যে। বাফারিং শব্দটাই মুছে যাবে ডিজিটাল দুনিয়া থেকে।