
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক অর্জুন এমকে-১এ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কমিটি এই ট্যাঙ্ক ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। ৮৪০০ কোটি টাকার চুক্তিতে এই ট্যাঙ্ক সেনাবাহিনীর হাতে আসার আগে শেষ ধাপ বাকি রয়েছে। একবার সুরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার কথা। কিন্তু তার দিন এখনও ঠিক হয়নি।
তিন বছরের চুক্তিতে ভারতীয় সেনায় যোগ দেবে অর্জুন এমকে-১এ। এই ট্যাঙ্ক চলে এলে সীমান্ত রক্ষা ও যুদ্ধের ক্ষেত্রে পড়শি দেশ পাকিস্তানকে অনেকটাই চাপে ফেলবে ভারত এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
২০০৪ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রথম কাজ শুরু করে অর্জুন। কিন্তু সেই ট্যাঙ্কের মধ্যে ৭১টি বদল করে এই অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। কমব্যাট ভেহিকেলস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্ট বা সিভিআরডিই-র ডিরেক্টর ভি বালামুরুগান জানিয়েছেন, ৭১টি বদলের মধ্যে ১৪টি বদল হয়েছে ট্যাঙ্কের ক্ষমতা, গতি ও সুরক্ষার উপর।
And on cue, the Defence Acquisition Committee of the Ministry of Defence issues an Acceptance of Necessity for 118 Arjun Mk-1A tanks worth Rs.8400 crores. Nice coincidence being in Avadi on the same day. pic.twitter.com/EngPy0kA2s
— Vishnu Som (@VishnuNDTV) February 23, 2021
জানা গিয়েছে, দিনে ও রাতে ৩৬০ ডিগ্রি নজর রাখতে সক্ষম এই ট্যাঙ্ক। তার ফলে ট্যাঙ্কের দায়িত্বে থাকা কম্যান্ডার খুব সহজেই নিজের নিশানা স্থির করতে পারবে। যদিও এখনও টি ৯০ ট্যাঙ্কের মতো অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ছোড়ার ক্ষমতা অর্জুনের নেই। কিন্তু একবার এই মিসাইল তৈরি হয়ে গেলেই সেই ক্ষমতাও এই ট্যাঙ্কের থাকবে বলেই জানানো হয়েছে।
এই মুহূর্তে বিভিন্ন ধরনের ৩৯ রাউন্ড গোলাবারুদ নিয়ে যেতে সক্ষম অর্জুন এমকে-১এ। এগিয়ে যেতে যেতেই নিশানায় গুলি করতে সক্ষম এই ট্যাঙ্ক। এছাড়া শত্রুপক্ষের প্রচন্ড সুরক্ষিত ট্যাঙ্ককেও নিমেষে গুঁড়িয়ে দিতে পারে এই ট্যাঙ্ক। তার জন্য এতে ফিন স্টেবিলাইসড আর্মার পিয়ারসিং ডিসকার্ডিং সাবোটস এবং হাই এক্সপ্লোসিভ স্কোয়াশ হেড-এর মতো টেকনোলজি রয়েছে।
ভারতের পশ্চিম সীমান্তে ৬০০০ কিলোমিটার এলাকার উপরে এই ট্যাঙ্ককে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তিন বছর ধরে এই ট্রায়াল চলেছে। কোনও ট্যাঙ্কের জন্য এতদিন ধরে ট্রায়াল হয়নি। সেনাবাহিনীতে মোট ১১৮টি অর্জুন এমকে-১এ নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার মন্ত্রিসভা কত তাড়াতাড়ি তাতে অনুমোদন দেয়।