
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক জানিয়েছে, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরাও অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকদের মতো সার্জারি অর্থাৎ অস্ত্রোপচার করতে পারবেন। এই নির্দেশিকার পরেই সমালোচনা শুরু হয় চিকিৎসক মহলের একাংশের তরফেই। তাঁরা জানান, আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকে তাহলে ‘মিক্সোপ্যাথি’ অর্থাৎ একাধিক ডাক্তারি মাধ্যমের সংমিশ্রণ বলা যেতে পারে। কিন্তু সেই সমালোচনার জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক। বললেন, অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকদের মতো আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরাও ‘প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সার্জেন’। অর্থাৎ অস্ত্রোপচারের জন্য নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ তাঁদের রয়েছে।
সম্প্রতি একটি দুর্ঘটনার পরে গোয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শ্রীপদ নায়েক। সেখান থেকে বেরনোর সময় সংবাদসংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের অস্ত্রোপচার ও অন্যান্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকদের উপর থেকে চাপ কমানোর জন্য।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ। এই প্রসঙ্গে শ্রীপদ নায়েক বলেন, ‘মিক্সোপ্যাথি’ বলে কোনও শব্দ নেই। তিনি বলেন, “আমরা অ্যালোপ্যাথিকে সাহায্য করার জন্য ভারতীয় চিকিৎসা মাধ্যমকে সামনে এনেছি। এটা কোনও প্রতিযোগিতার বিষয় নেই। দুই শাখার চিকিৎসকদের একে অন্যের প্রশংসা করা উচিত।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকদের মতো আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরাও শিক্ষিত। তাঁদের অস্ত্রোপচার করারও প্রশিক্ষণ রয়েছে। তিনি বলেন, “পড়াশোনা শেষ করার পরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের এক বছরের ইন্টার্নশিপ করতে হয়। অর্থাৎ তাঁরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সার্জেন।”
কয়েক হাজার বছর ধরে ভারতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা দেশের মানুষের উপকারে লেগেছে এবং এই ব্যবস্থায় কোনও বদল হয়নি বলেই জানিয়েছেন মন্ত্রী। কিন্তু তাতে কান দিতে নারাজ অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকরা। দেশের একাধিক জায়গায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন তাঁরা।
সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ান মেডিসিন নির্দেশ দিয়েছে তিন বছরের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্সের পরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা নির্দিষ্ট কিছু অস্ত্রোপচার করতে পারবেন। এই সিদ্ধান্তেরই বিরোধিতা করছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়ে দিলেন অস্ত্রোপচারের প্রশিক্ষণ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদেরও রয়েছে।