
দ্য ওয়াল ব্যুরো: খাবার পরিষেবা নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগের উদাহরণ ভূরি ভূরি। সেই তালিকায় রয়েছে জোম্যাটো থেকে সুইগি। খাবারের মান বা পরিষেবার পাশাপাশি এ বার জুড়ে গেল যৌন হেনস্থার অভিযোগও। বেঙ্গালুরুর এক মহিলার অভিযোগ, খাবার পৌঁছে দিতে এসে শুধু অশালীন ইঙ্গিতই নয়, তাঁকে হেনস্থা করার চেষ্টাও করেন ডেলিভারি বয়।
বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন ওই মহিলা। রবিবার রাতে সুইগি থেকে খাবার অর্ডার করেছিলেন তিনি। সঠিক সময়েই খাবার নিয়ে হাজির হন এক তরুণ। মহিলার দাবি, শুরু থেকেই ওই তরুণ অদ্ভুত ব্যবহার করছিলেন। খাবারের প্যাকেট হাতে না দিয়ে নানা কথা শুরু করেন। তাঁর চাউনিও শোভন ছিল না বলেই দাবি মহিলার। তিনি হাত বাড়িয়ে প্যাকেট নেওয়ার চেষ্টা করলে ওই তরুণ তাঁর হাত চেপে ধরেন।
মহিলার অভিযোগ, ওই ডেলিভারি বয় তাঁকে অশ্লীল ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। বাড়িতে কেউ রয়েছে কিনা সেটাও জানার চেষ্টা করছিলেন। এর পর মহিলার হাত ধরে টানাটানি শুরু করেন তিনি। ভয় পেয়ে এক ঝটকায় হাত সরিয়ে নিয়ে মহিলা দরজা বন্ধ করে দেন।
ফেসবুকে ইতিমধ্যেই ঘটনার কথা জানিয়ে পোস্ট করেছেন ওই মহিলা। সেই পোস্ট ভাইরালও হয়েছে। অভিযোগকারিনীর কথায়, ‘‘আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাড়াতাড়ি খাবারটা ছিনিয়ে নিয়ে ডেলিভারি বয়ের মুখের উপরেই দরজা বন্ধ করে দিই। তারপর সুইগিকে ফোন করে ঘটনার কথা জানাই।’’
সুইগি থেকে প্রথমে এই অভিযোগকে বিশেষ পাত্তা দেওয়া হয়নি, দাবি মহিলার। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি অবাক হয়ে গেলাম ঘটনার কথা বিস্তারিত শুনেও সুইগির তরফে কোনও মন্তব্য করা হলো না। পরে ‘সরি’ লেখা একটি নোট আমি পাই এবং তার সঙ্গে ২০০ টাকার একটি কুপন।’’ শুধুমাত্র ক্ষমা চেয়েই দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে সুইগি, মহিলার দাবি এমনটাই।
তবে সুইগি কর্তৃপক্ষের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘‘ফেসবুকে আমরা মহিলার কাছে ক্ষমা চেয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছি।’’
ভারতের প্রায় ৮০টি শহরে অনলাইনে খাবার ডেলিভারির পরিষেবা দিয়ে থাকে সুইগি। এর আগে সুইগির ডেলিভারি দেওয়া খাবারে পাওয়া রক্তমাখা মেডিকেটেড ব্যান্ডেজ স্ট্রিপ পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন চেন্নাইয়ের এক ব্যক্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যান্ডেজ-সহ সেই খাবারের ছবি ভাইরালও হয়েছিল।