
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত ২৬ দিন ধরে দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। কেন্দ্রের পাশ করা তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করার দাবি তুলে এই আন্দোলন করছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই সরকারের সঙ্গে পাঁচবার বৈঠকে বসেছে কৃষক সংগঠনগুলি। কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রয়োজনে কৃষি আইনে সংশোধনী আনতে তারা তৈরি। তাতেও রাজি নন কৃষকরা। তাঁরা চান আইন সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক। এই অবস্থায় কৃষকদের কোর্টে বল ঠেলল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাদের জিজ্ঞাসা করা হল, কেন্দ্রের খসড়া প্রস্তাবে তারা কেন রাজি নয় তা সরকারকে জানাতে। সেইসঙ্গে কবে তারা ফের বৈঠকে বসতে চায় সেটা ঠিক করে জানাতে বলা হয়েছে।
৪০টি কৃষক সংগঠনের নেতাকে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রকের যুগ্মসচিব বিবেক আগরওয়াল একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, কৃষকরা যেসব সমস্যার কথা জানিয়েছেন তা সমাধানের জন্য খোলা মনে এগিয়েছে কেন্দ্র। ৯ ডিসেম্বর পাঠানো একটি খসড়া প্রস্তাবে সরকার জানিয়েছিল অন্তত সাতটি সমস্যার বিষয়ে কৃষি আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে তারা প্রস্তুত। সেইসঙ্গে কৃষকদের লিখিত ভাবে বলা হয়েছিল যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বন্ধ হবে না। কিন্তু গত ১৬ ডিসেম্বর ক্রান্তিকারি কিষাণ ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি দর্শন পালের তরফে একটি ইমেল পাঠিয়ে কৃষক সংগঠনগুলি জানায়, এই প্রস্তাব তারা মানছে না। তারা বলে, সরকার যে খসড়া প্রস্তাব পাঠিয়েছে তা দায়সারা। যদিও ঠিক কোন কোন কারণে ওই প্রস্তাব তারা মানলেন না সেকথা উল্লেখ করা হয়নি কৃষক সংগঠনগুলির তরফে।
বিবেক আগরওয়াল এই চিঠিতে আবেদন করেছেন, যেসব কৃষক সংগঠনগুলি সরকারের সঙ্গে কথা বলছিল, তাদের ওই খসড়া প্রস্তাবে কী কী সমস্যা হচ্ছে সে সম্পর্কিত তথ্য যেন সরকারকে জানায়। সেইসঙ্গে পরবর্তী পর্যায়ের বৈঠকের জন্য একটি দিন যেন তারা ঠিক করে জানায়, এমনটাও বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে পরবর্তী বৈঠক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করতে চায় সরকার। এই প্রসঙ্গে আরও অনেক কৃষক সংগঠনের কাছে চিঠি পাঠিয়ে তাদেরও মতামত চেয়েছে কেন্দ্র।

রবিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, আগামী দু-একদিনের মধ্যে কৃষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেই মনে করেন তিনি।