
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা রুখতে এবার দেশের অন্যান্য রাজ্যেও ‘দিল্লি মডেল’ চালু করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। আর তাই সোমবার এই বিষয়ে পরিকল্পনা করতে বৈঠকে বসার কথা তাদের। শনিবার কেন্দ্রের তরফে এই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবারের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা। এক আধিকারিকের কথায়, “অন্যান্য রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় কী ভাবে দিল্লি মডেল ব্যবহার করা যায় সেই সংক্রান্ত আলোচনার জন্য এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। তার সঙ্গে আগামী দিনে দিল্লিতেও কী পরিকল্পনা নেওয়া হবে সেই আলোচনাও হবে এই বৈঠকে।”
জানা গিয়েছে, দিল্লির মুখ্যসচিব বিজয় দেব উপস্থিত থাকবেন বৈঠকে। তিনিই কেন্দ্রের সামনে জানাবেন, সেখানে করোনা মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ ও নীতি আয়োগের সদস্য ডক্টর ভি কে পলেরও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা।
জুলাইয়ের শুরু পর্যন্ত ভারতে করোনা সংক্রমণের দুই তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী ছিল মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু। কিন্তু বর্তমানে এই তিনি রাজ্যের তুলনায় অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, বিহার, গুজরাত, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভাল পরিমাণে সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন দিল্লির মডেল হল টেস্টিং, হোম আইসোলেশন, তথ্যের স্বচ্ছতা, হাসপাতালে বেডের প্রাচুর্য ও প্লাজমা থেরাপি। আর এই কয়েকটি পদ্ধতি যাতে ঠিকভাবে করা যায় তার জন্য টিমওয়ার্ক, সমালোচনা সহ্য করে ভুলভ্রান্তি মেটানো ও আশা না ছাড়া, এই তিনটি মূল মন্ত্র নিয়ে চলেছি আমরা।
শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী দিল্লিতে সুস্থতার হার এই মুহূর্তে ৮৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই হার জাতীয় গড়ের থেকে অনেক বেশি ও ভারতের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই মুহূর্তে এখানে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১২,৬৫৭। শনিবার নতুন করে ১১৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবারই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, দিল্লির ২ কোটি মানুষ, দিল্লি সরকার ও কেন্দ্র মিলে করোনার বিরুদ্ধে আমরা জিতে গিয়েছি। যদিও লড়াই এখনও চলছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দিল্লিই হয়তো প্রথম রাজ্য হবে যেখানে হার্ড ইমিউনিটি দেখা যাবে। ২৭ জুন থেকে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে সেরোলজিক্যাল সার্ভে করা হয়েছে এখানে। তাতে দেখা যাচ্ছে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই আক্রান্ত ব্যক্তিরা সুস্থ হয়ে উঠছেন। এই ছবি ভাল ইঙ্গিত দিচ্ছে।
চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দিল্লি সরকার ও কেন্দ্রের যৌথ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। তাই এবার সেই একই মডেল দেশের অন্যান্য রাজ্যেও চালাতে চাইছে কেন্দ্র। সেটা কী ভাবে করা সম্ভব, তার জন্যই সোমবার বৈঠকে বসছে কেন্দ্র।