
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সময় আর বেশি নেই। আগামী ১ মার্চ থেকে ফের বৃহত্তর টিকাকরণ কর্মসূচী শুরু হয়ে যাচ্ছে দেশে। এই দফায় ২৭ কোটিকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আছে কেন্দ্রীয় সরকারের। ৬০ বছরের ওপরে বয়স্ক ও ৪৫ বছরের ওপরে কো-মর্বিডিটির রোগীদের টিকা দেওয়া হবে এই পর্বে। বয়স্কদের টিকাকরণের সুবিধার জন্য কো-উইন অ্যাপের নয়া ভার্সন চালুর কথা আগেই বলা হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি তা চালু করে দেওয়া হবে।
সরকারি সূত্রে খবর, কো-উইন অ্যাপ, আরোগ্য সেতু ও কেন্দ্রের চালু করা সার্ভিস সেন্টার থেকে টিকাকরণের যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। ৪৫ বছরের বেশি বয়সীরা যাঁদের কো-মর্বিডিটি তথা শরীরে নানারকম রোগ আছে তাঁরা টিকার অগ্রাধিকার পাবেন এই পর্বে। সে জন্য কো-উইন অ্যাপে নাম রেজিস্টার করে নিজেদের পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন জমা করতে হবে। কী ধরনের রোগ আছে এবং তার জন্য কী চিকিৎসা হয় বা রোগী কী ওষুধ খান তার বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে।
১ মার্চ থেকে শুধু সরকারি হাসপাতাল নয়, বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে টিকা দেওয়া শুরু হবে। সরকারি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যেই পাওয়া যাবে করোনার ভ্যাকসিন, তবে দাম দিয়ে টিকা নিতে হবে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন বেসরকারি হাসপাতালে টিকার দাম কত হবে তা আগামী দু’তিন দিনের মধ্যেই ঘোষণা করবে সরকার। মোট ১০ হাজার সরকারি হাসপাতাল ও ২০ হাজার বেসরকারি হাসপাতালে টিকাকরণের পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে।
টিকা নিতে ইচ্ছুকরা কো-উইন অ্যাপে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এবার থেকে কো-উইনের নয়া ভার্সন কো-উইন ২.০ চালু করছে সরকার। নয়া ভার্সনে থাকবে জিপিএসের সুবিধা। এখানে সেলফ-রেজিস্ট্রেশনের সুবিধাও থাকছে। কাজেই নিজের পছন্দমতো টিকা কেন্দ্র বেছে নিতে পারবেন ৫০ বছরের বেশি বয়সীরা। কাছাকাছি সুবিধা মতো কেন্দ্রে গিয়ে টিকার ইঞ্জেকশন নেওয়া যাবে।
কো-উইন পোর্টালে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আধার কার্ড বাধ্যতামূলক ভাবে থাকাটা জরুরি নয়। টিকা নেওয়ার জন্য নাম রেজিস্টার করাতে গেলে আইডি প্রুফ আগে দিতে হবে। নিজের পাসপোর্ট সাইজের ফটো, ড্রাইভিং লাইসেন্স, মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট জব কার্ড, প্যান কার্ড, পাসবুক (ব্যাঙ্ক/পোস্ট অফিস), পাসপোর্ট, পেনশন ডকুমেন্ট, যেখানে চাকরি করেন সেখানেকার আইডি কার্ড, ভোটার কার্ড ইত্যাদি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। টিকা নেওয়ার আগে তাদের মোবাইলে এসএমএস আসবে। সেখানে টিকা নেওয়ার দিন ও জায়গা বলা থাকবে। যাঁদের টিকা দেওয়া হবে, তাঁদের কাছে এসএমএস যাবে। মোট ১২ টি ভাষায় এসএমএস পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেককে ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ দেওয়ার পরে একটি কিউ আর কোড নির্ভর সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। সেই সার্টিফিকেট মোবাইলে রাখা যাবে। এছাড়া যাঁরা ভ্যাকসিন নেবেন, তাঁদের সম্পর্কে ডিজি লকার নামে এক ডকুমেন্ট স্টোরেজ অ্যাপে। সেই সঙ্গে থাকবে হেল্পলাইন। তা সপ্তাহের সাতদিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে।