
আরও তিন রাজ্যে আন্তঃমন্ত্রক দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, সেই তালিকায় রয়েছে গুজরাতও
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গ-সহ চার রাজ্যে আগেই আন্তঃমন্ত্রক দল পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে আরও তিন রাজ্য। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু ও গুজরাতে আন্তঃমন্ত্রক দল পাঠানো হবে।
চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে মোট ছ’-টিম পাঠায় অমিত শাহের গৃহমন্ত্রক। বাংলা এবং মহারাষ্ট্রে দুটি করে টিম পাঠায় কেন্দ্র। শুক্রবার পর্যন্ত কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে নবান্নের তিক্ত সংঘাত জারি রয়েছে। এর মধ্যেই আরও তিন রাজ্যে টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল নর্থ ব্লক।
লকডাউন ঠিকঠাক পালন করা হচ্ছে কিনা, বাজারগুলিতে সামাজিক দূরত্ব কতটা বজায় থাকছে, ২০ এপ্রিল থেকে যে যে ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে সেখানে শর্ত মানা হচ্ছে কিনা, ভিনরাজ্যের শ্রমিক বা গরিব মানুষ ঠিকমতো খাবার এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পাচ্ছে কিনা এবং চিকিৎসা পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতেই রাজ্যের হটস্পট এলাকা বা অতি স্পর্শকাতর এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় দল।
তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা এবং গুজরাতের কিছু জায়গাকে বিশেষ ভাবে গুরুতর বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু সরকার ঘোষণা করেছে, চেন্নাই, মাদুরাই-সহ রাজ্যের মোট চারটি বড় শহরে লকডাউন আরও কঠোর করবে। তেলেঙ্গানা সরকার তো আগেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৭ মে পর্যন্ত করার কথা ঘোষণা করেছে। তারপরও কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের রাজ্যে সংক্রমণ কমার নাম নেই। মহারাষ্ট্রের পর গুজরাত আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয়। সুরাত এবং আমদাবাদের বেশ কিছু জায়গাকে অতি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
প্রসঙ্গত আন্তঃমন্ত্রক দলের আসা নিয়ে বাংলায় যা হয়েছে তা আর কোনও রাজ্যে হয়নি। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট নিজে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেছেন আন্তঃমন্ত্রক দলের সঙ্গে। রাজস্থান সরকারের তরফে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় দল রাজ্য সরকারকে.সাহায্য করতে এসেছে।
এদিন আরও তিন রাজ্যে আন্তঃমন্ত্রক টিম পাঠানোর কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণার পর টিপ্পনি কাটতে ছাড়েনি বঙ্গ বিজেপির নেতারা। রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র সায়ন্তন বসু বলেন বলেন, “গুজরাত তো মোদীজি, অমিতজির নিজের রাজ্য। সেখানেও তো দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। আসলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আর ভোটের লড়াই যে এক নয় এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বুঝতে চাইছে না!”