
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিদেশি ভ্যাকসিনগুলো বাজারে আসতে শুরু করবে ডিসেম্বর থেকেই। জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকাও চলে আসতে পারে। তাই ভ্যাকসিন সংরক্ষণের সব ব্যবস্থাই সেরে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কম ঠান্ডায় টিকা সংরক্ষণের জন্য যেমন পরিকাঠামো দরকার তার সব ব্যবস্থাই হয়ে যাবে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই।
টিকা সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য রাজ্যগুলিকে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন বানিয়ে রাখার কথা কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। রাজ্যে রাজ্যে টিকা সংরক্ষণের পরিকাঠামো কেমন তা দেখতে কেন্দ্রের টাস্ক ফোর্সও তৈরি হয়েছে। আদিত্যনাথ বলেছেন, টিকা চলে এলে কারা আগে পাবে, কোথায় কোথায় আগে টিকার বিতরণ করা হবে তার জন্য গাইডলাইন তৈরি হয়ে গেছে। টিকা সংরক্ষণের জন্য রাজ্যের সমস্ত কোল্ড স্টোরেজগুলির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, জেলায় জেলায় কোল্ড স্টোরেজগুলির ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি হয়ে যাবে। রাজ্যের জনসংখ্যা বিচার করে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য বেশি সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থাও হচ্ছে।
ভ্যাকসিন রেগুলেটরি কমিটির বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান ডক্টর ভিকে পাল বলেছেন, ভ্যাকসিনের উৎপাদন, বিতরণ এবং সংরক্ষণের জন্য আলাদা আলাদা টিম তৈরি হয়েছে। কোল্ড স্টোরেজের জন্য রাজ্যগুলিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দেশে এখন যতগুলি কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে তাদের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হচ্ছে। কী পরিমাণ টিকার ডোজ দেশের বাজারে আসতে পারে তার সম্ভাব্য পরিমাপ করে অতিরিক্ত কতগুলি কোল্ড স্টোরেজ তৈরি করতে হবে তার ম্যাপিং করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ৩০ কোটিকে আগে করোনার টিকা দেওয়া হবে। তার জন্য প্রোটোকল তৈরি হয়েছে। রাজ্যে রাজ্যে সে প্রটোকল পৌঁছে দেওয়া হবে। কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনেই টিকাকরণ করতে হবে। যে বয়সের মানুষদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তার তালিকাও তৈরি হয়েছে। এর জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রক রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলে কাজ করছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক এই মুহূর্তে একটি ফরম্যাট তৈরি করছে যেখানে রাজ্যগুলি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে জনসংখ্যার তালিকা জমা দিতে পারে। এই ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে কারা অগ্রাধিকার পাবে তার একটা রূপরেখাও জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ডাক্তার, নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মী ও ডাক্তারি পড়ুয়াদের আগে টিকা দেওয়া হবে। এর পরে পুলিশ, প্রশাসন, মিউনিসিপ্যালিটির কর্মী মিলিয়ে অন্তত ২ কোটি জনকে টিকা দেওয়ার তালিকা তৈরি হয়েছে। তৃতীয় ক্যাটেগরিতে রাখা রয়েছে ২৬ কোটি মানুষকে, যাদের বয়স ৫০ বছরের বেশি। চতুর্থ ক্যাটেগরিতে থাকবে কোমবির্ডিটির রোগীরা এবং ৫০ বছরের কম লোকজন যাদের পেশার জন্য বেশি মেলামেশা করার প্রয়োজন হয়।