
দিল্লির করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে, সুস্থতার হার বেড়েছে ৬৬%: কেজরিওয়াল
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণ ২১৯৯, যা গত কয়েকদিনের তুলনায় কম। গত সপ্তাহে দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ যেভাবে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল সে দিক থেকে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কিছুটা হলেও কমেছে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা পরিস্থিতি একটু একটু করে নিয়ন্ত্রণে আসছে। অ্যাকটিভ বা সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা তুলনায় কমেছে। মৃত্যুহারও কম। এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
মহারাষ্ট্রে কোভিড পজিটিভ রোগীর সংখ্যা এখন সবচেয়ে বেশি। দেশের ৫ লাখ ৭৫ হাজার করোনা রোগীর মধ্যে ১ লাখ ৭৩ হাজারই মহারাষ্ট্রে। সংক্রমণের নিরিখে কখনও দিল্লি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে আবার কখনও তামিলনাড়ু। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আজকের পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী তামিলনাড়ুতে করোনা রোগীর সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে আর দিল্লিতে ৮৭ হাজার।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণ ২১৯৯, যা গত কয়েকদিনের তুলনায় কম। গত সপ্তাহে দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ যেভাবে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল সে দিক থেকে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কিছুটা হলেও কমেছে। দৈনিক গড় বৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সেই সঙ্গে কমেছে কোভিড অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, জুনের শেষে রাজধানীতে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। এখন সেখানে অ্যাকটিভ কেস ২৬ হাজারের কাছাকাছি।
Situation is improving in Delhi in last few days. However, there is no room for complacency. This virus is unpredictable. We must continue our efforts wid more vigor https://t.co/m3nmQFd4oc
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) July 1, 2020
করোনা টেস্টের সংখ্যা অনেক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর মতে, দিনে গড়ে ২০ হাজারের বেশি কোভিড টেস্ট হচ্ছে দিল্লিতে। গত সপ্তাহে দিনে গড়ে ১৬ হাজার কোভিড টেস্টিং হচ্ছিল, এ সপ্তাহ থেকে সেটাই বেড়ে ২১ হাজারে পৌঁছেছে। করোনা রোগী ও তাঁদের সংস্পর্শে আসাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। কনট্যাক্ট ট্রেসিং বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, দিল্লিতে এখনও অবধি কনটেইনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা ২৮০। নতুন করে কনটেইনমেন্ট জ়োন বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কোভিড টেস্টিংয়ের পাশাপাশি কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের জন্য বাড়ি বাড়ি ঘুরে স্ক্রিনিং করার কাজ চলছে। শুধু কনটেইনমেন্ট জ়োন নয়, দিল্লির প্রতিটি বাড়ি ঘুরে স্ক্রিনিং করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সংক্রমণ পরীক্ষা করা হবে প্রতিজনের। দিল্লিতে করোনা রোগীদের জন্য এখনও অবধি ১৩ হাজারের বেশি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া রাধা-স্বামী স্পিরিচুয়াল সেন্টারে সাড়ে ১২ লক্ষ বর্গ ফুট জায়গা জুড়ে ১০ হাজার বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কয়েকটি হোটেলকে অস্থায়ী কোভিড সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
করোনা চিকিৎসাতেও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, দিল্লির অন্তত ২০টি জায়গায় প্লাজমা থেরাপি করা হচ্ছে। দেশের প্রথম প্লাজমা ব্যাঙ্ক চালু হচ্ছে দক্ষিণ দিল্লির ইনস্টিটিউট অব লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্সেসে (আইএলবিএস)।করোনা সারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠাদের রক্তরস বা প্লাজমা জমা করে রাখা হবে সেখানে। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সেই প্লাজমা ব্যবহার করা হবে। করোনা টেস্টিং ও চিকিৎসার সুব্যবস্থা থাকায় সুস্থতার হারও বাড়ছে দিল্লিতে। রাজধানীতে এখন করোনা সারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠাদের সংখ্যা ৫৮ হাজার ৩৪৮। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, গোটা দেশে যেখানে করোনায় সুস্থতার হার ৫৯%, সেখানে দিল্লিতে সুস্থতার হার ৬০% থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৬%।